চবি প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৩, ০৬:০২ পিএম
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) গণিত ক্লাবের (সিইউএমসি) উদ্যোগে গবেষণা বিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। এতে চবিসহ বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) দিনব্যাপী চলে এই কর্মশালা। এদিন সকাল ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার মিলনায়তনে ‘ওয়ার্কশপ অন রিসার্চ’ শীর্ষক গবেষণা কর্মশালাটি শুরু হয়। পরে বেলা ২টার দিকে এটি সমাপ্ত হয়। কর্মশালা শেষে অংশগ্রহণকারীদের সনদ প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানটিতে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবির যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল হক। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার `স্কুল অব কমিউনিকেশন কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি ` এর তরুণ গবেষক ড. আব্দুল আজিজ।
এ সময় ড. মো. শহিদুল হক বিদেশে উচ্চশিক্ষার দিকে আলোকপাত করার পাশাপাশি গবেষণার প্রয়োজনীয়, ধাপসমূহ, প্রক্রিয়া ও অন্যান্য দিক সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, একজন গবেষককে অনেক ধৈর্য্য নিয়ে কাজ করতে হয়। `নেভার কুইট` স্লোগান মাথায় রেখে লেগে থাকতে হয়৷ গবেষণা কাজ শুরু করলে কখনো হাল ছেড়ে দেওয়া যাবেনা।
তিনি আরও বলেন, একটি গবেষণা শুরু করার পূর্বে অনেকগুলো বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন। কিভাবে বিষয় নির্বাচন করতে হয়, কোন উপায়ে রিসার্চ প্রপোজাল লিখতে হয় তা খুটিনাটি জানা প্রয়োজন।
ড. শহিদুল গবেষণা করতে জোর দিয়েছেন যোগাযোগ দক্ষতার উপর। তিনি বলেন, গবেষণার ক্ষেত্রে যোগাযোগ দক্ষতা অকল্পনীয় ভূমিকা রাখে। আমার যোগাযোগ দক্ষতা ভালো ছিল বলে অন্যান্য গবেষকদের থেকে আমি অনেক এগিয়ে ছিলাম। আমরা অনেকেই নিজেদের ভুল স্বীকার করতে চাই না৷ এটি করা যাবে না। ভুল থেকেই আমাদের শিক্ষা শুরু হয়।
বিশেষ অতিথি ড. আব্দুল আজিজ শিক্ষার্থীদেরকে উচ্চ শিক্ষার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে উচ্চ শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে বিস্তারিত খুঁটিনাটি আলোচনা করেন। পাশাপাশি গবেষণার বিভিন্ন ধরন, প্রক্রিয়াসহ তার কিছু গবেষণা প্রকল্পের নমুনা উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, গবেষক হতে হলে নিজে ব্যাক্তিগত উদ্যােগ নিয়ে চেষ্টা করতে হবে। অনেকেই বিভিন্ন এজেন্সিতে গিয়ে সময় এবং টাকা খরচ করে ফেলেন। তা উচিৎ নয়। সবকিছু ধীরস্থিরভাবে বুঝতে হবে নিজেকে। তাহলে আমাদের যে সীমাবদ্ধতা আছে তা কমবে।
আরএস
