Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

ইবিতে ছাত্রী নির্যাতন: অভিযুক্তদের সাক্ষ্য গ্রহণ

ইবি প্রতিনিধি

ইবি প্রতিনিধি

ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩, ০৫:২৭ পিএম


ইবিতে ছাত্রী নির্যাতন: অভিযুক্তদের সাক্ষ্য গ্রহণ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ কতৃক গঠিত তদন্ত কমিটি
অভিযুক্তদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ ভবনে অভিযুক্ত পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তাবাসসুমের সাক্ষাতকার গ্রহণ করেন কমিটি।

অভিযুক্ত সানজিদা অন্তরা চৌধুরী ও তাবাসসুমের থেকে পৃথক চার পৃষ্ঠার লিখিত ও সাক্ষরিত অভিযোগ জমা নিয়েছে কমিটি।

প্রায় চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অভিযুক্ত সানজিদা চৌধুরী অন্তরা বলেন, আমার থেকে যা যা জানতে চাওয়া হয়েছিলো আমি বলেছি।

কি কি বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিলো এই প্রশ্নে তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থে আমি এখন কিছু বলতে পারবো না। তদন্ত শেষে কোনটি সত্য কোনটি মিথ্যা সবই জানা যাবে।

আরেক অভিযুক্ত তাবাসসুম বলেন, তদন্তের স্বার্থে আমি এখন কিছুই বলতে পারবো না তদন্ত শেষে আপনারা সবকিছুই জানতে পারবেন।

তদন্তের কাজে উপস্থিত ছিলেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড.রেবা মন্ডল, সদস্য অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা, অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী সহ কমিটির অন্যরা৷ অধ্যাপক ড.রেবা মন্ডল বলেন, আমরা ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত সবার সাক্ষ্য গ্রহণকরার মাধ্যমে তদন্তের কাজ অনেকদূর এগিয়ে নিয়েছি। 
অভিযুক্তরা কি বললেন এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থে এখনই এই বিষয়ে কিছু জানানো সম্ভব হচ্ছে না। আমরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে পারবো বলে আশা করছি।

এদিকে, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আ. ন. ম. আবুজর গিফারী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আ. ন. ম. আবুজর গিফারী, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানা এবং  বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর শাহবুব আলম।

এ বিষয়ে সহকারী অধ্যাপক শাহবুব আলম বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। এবং এই কমিটিতে আমাকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আশা করি কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারবো।

কেএস 

Link copied!