Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

পবিপ্রবি‍‍`তে জাতীয় গ্রন্থাকার দিবস পালিত

পবিপ্রবি প্রতিনিধি

পবিপ্রবি প্রতিনিধি

ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩, ০৬:২৪ পিএম


পবিপ্রবি‍‍`তে জাতীয় গ্রন্থাকার দিবস পালিত

নানা আয়োজনে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০২৩ পালিত হয়েছে। দিবসটি পালনে এবারের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো "স্মার্ট গ্রন্থাগার, স্মার্ট বাংলাদেশ"।

আজ (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০.৩০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে দিবসটি উদ্বোধনের মাধ্যমে এর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত। এসময় তিনি লাইব্রেরির তৃতীয় তলায় থিসিস কর্ণার ও চতুর্থ তলায় ডিজিটাল রিসোর্স একসেস কর্ণার উদ্বোধন করেন। পরে পবিত্র কোরআন তেলওয়াত ও গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন পবিপ্রবি গ্রন্থাগারিক ও জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য পঙ্কজ কুমার সরকার।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে উপস্থিত বক্তৃতার আয়োজন করা হয়। বক্তৃতার বিষয়বস্তু ছিল "স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে গ্রন্থাগারের ভূমিক"। এতে মো. আমিনুল ইসলাম বুলবুল প্রথম, উদিতা সরকার চন্দ্রবিন্দু দ্বিতীয় এবং সোহেল আমিন সাকিব তৃতীয় স্থান অর্জন করেন।

আলোচনা সভায় কৃষিতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. জাহিদ হাসান, খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক লিটন চন্দ্র সেন, প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর আলম, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের প্রফেসর ড. বদিউজ্জামান সহ আরও অনেকে বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তারা লাইব্রেরীর ইতিহাস, বিশ্ববিদ্যালয়ে লাইব্রেরির অবস্থা ও গুরুত্বসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অ.দা.) প্রফেসর ড. সন্তোষ কুমার বসু লাইব্রেরির প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, বই হলো মনের ব্যাধির সবচেয়ে বড় সমাধান। বর্তমান প্রজন্ম স্মার্ট ফোনের প্রতি আসক্তির দরুন সেই বই পড়ার অভ্যাস অনেকাংশেই হারাতে বসেছে। বর্তমান সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে যে উদ্যোগ নিয়েছে তার জন্য আমাদের সকলকে জ্ঞান অর্জনের উদ্দেশ্যে লাইব্রেরিমুখী হতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বলেন, আমরা আজ দরিদ্র দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছি, দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে তবে আমাদের নৈতিকতা ও মননশীলতায় সে উন্নয়ন হয়নি। একটি দক্ষ ও মননশীল প্রজন্ম তৈরী করতে হলে তার সাথে লাইব্রেরীর সম্পর্ক বাড়াতে হবে। এবং এ বই পড়াই পারে আমাদের এ মানবিক গুণাবলি গুলো অর্জনে ভূমিকা পালন করতে।

জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও কৃষিতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. পূর্ণেন্দু বিশ্বাসের সভাপতিত্বে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে উপস্থিত বক্তৃতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরন করা হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আরএস
 

Link copied!