ঢাবি প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩, ০৮:৪০ পিএম
ঢাবি প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩, ০৮:৪০ পিএম
শিক্ষার্থী সমাজকে সাথে নিয়ে ক্যাম্পাসগুলোতে সুষ্ঠু একাডেমিক পরিবেশ, শিক্ষার্থীদের আত্মমর্যাদা-ব্যক্তিত্ব-প্রতিভার বিকাশ, গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসর, তারুণ্যের উদযাপন নিশ্চিত করতে `অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পেইন অ্যাগেইনস্ট র্যাগিং এন্ড সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট ইন ক্যাম্পাস` এর আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় ক্যাম্পেইনটি মধুর ক্যান্টিন থেকে পথযাত্রা শুরু করে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
ক্যাম্পেইনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে ফুলপরিকে আমরা স্যালুট করি, সে অত্যন্ত সাহসীকতার দেখিয়েছে, ন্যায় বিচারের জন্য লড়েছে, এটা সবার জন্য অনুপ্রেরণা। প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে আমরা ফুলপরির মত হওয়ার জন্য আহ্বান করবো। বুলিং এবং র্যাগিং যারা করে তারা কোনো দলের নয় বরং তারা ফৌজদারি অপরাধে অপরাধী। র্যাগিংয়ের ব্যাপারে সকল ছাত্র সংগঠন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করতে হবে। নির্যাতনের দায় ছাত্র রাজনীতির উপর চাপানো যাবে না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতি আদর্শিক ভাবে উদ্ভুদ্ধ হওয়ার রাজনীতি। এটা আলোকিত প্রজন্ম গড়ার রাজনীতি। এবং এখানে অর্থ-বিত্তের জন্য অথবা আধিপত্য দেখানোর জন্য রাজনীতি নয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক প্রধানদের দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশে আইনগতভাবে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট, সিন্ডিকেটকে এন্টি র্যাগিং, সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট আইন প্রণয়ন করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি সার্কুলারে র্যাগিং বিরোধী স্লোগান অন্তর্ভুক্ত করা ও এন্টি র্যাগিং, সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট দিবস পালনের প্রতি আহবান জানান।
মাজহারুল কবির শয়ন বলেন, ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং ছাত্রলীগের যারা কর্মী রয়েছে তাদের কাছে আমরা বার্তা দিয়েছি হ্যারেসম্যান্ট ও র্যাগিংস এর বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কোন ধরনের প্রশ্রয় দিবে না এবং জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করবে। এর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্টি হ্যারেসম্যান্ট সেল বা এন্টি রেগিং সেল গঠন করার যে নির্দেশনা রয়েছে তা যেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দ্রুত কার্যকর করার আহ্বান জানাই।
ছাত্রলীগের ঢাবি সেক্রেটারি তানভীর হাসান সৈকত বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পেইন অ্যাগেইনস্ট র্যাগিং এন্ড সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্টের পথযাত্রা শুরু ছাত্রলীগের নেতৃত্বে বিস্তারের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত হবে। বেগম খালেদা জিয়া ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলো। ক্যাম্পাসে বোমা মারা হতো, শিক্ষার কোনো পরিবেশ ছিলো না, মেয়েদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক ছিলো। শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের হাতে কলম তুলে দেওয়ায় বিগত ১৪ বছরে ক্যাম্পাসে অস্ত্রের ঝনঝনানি নেই।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো একটি মুক্তচিন্তা চর্চার কেন্দ্র। এখানে এসে একজন শিক্ষার্থী তার নিজের শিক্ষা দিয়ে, নিজের বিবেচনা বোধ দিয়ে, নিজের মনন দিয়ে নিজেকে তৈরি করে নিবে। ফলশ্রুতিতে এক শিক্ষার্থী আত্মমর্যাদায় বিশ্বাসী হবে। আর তার আত্মমর্যাদা যেন ক্ষুন্ন না হয় সে জন্য ছাত্রলীগ কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে আমরা কিছু নীতি প্রণয়ন করেছি এবং আমরা সামনে আরো কাজ করবো।
প্রসঙ্গত, সকল বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল, কলেজ, মাদ্রাসা, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, টেকনিক্যাল কলেজসহ অন্যান্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের ইউনিটসমূহকে ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত এই কর্মসূচি আয়োজনের নির্দেশ দেয়া হয়।
কেএস