আখলাক, গবি প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩, ০৬:৫৪ পিএম
আখলাক, গবি প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩, ০৬:৫৪ পিএম
যাত্রা প্রায় ২৫ বছর হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খাবারে নেই কোন সুব্যবস্থা। থাকছে না খাবার, আবার যা আছে চড়া মূল্য, সাথে প্রতিনিয়ত অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে অসুস্থ হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
এই বৈষ্যমের চিত্র ফুটে উঠেছে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে। সম্প্রতি, খাবারের এমন অব্যবস্থনা নিয়ে সোচ্চার হয়ে উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় খাবারের মানোন্নয়ন সহ নয় দফা দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ক্যাম্পাসের ক্যান্টিনে ৯দফা দাবি নিয়ে সমবেত হয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন খাবারের দাম নির্ধারণ সহ তাদের দাবি গুলো তুলে ধরেন যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-
১. বিভিন্ন পদের খাবার সংযুক্ত করা।
২. ক্যান্টিন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
৩. সকালের নাস্তার সময় বাড়ানো।
৪. পর্যাপ্ত খাবার তৈরি রাখা।
৫. মুরগি খিচুড়ি -৬০টাকা
৬.ডিম খিচুড়ি- ৪০ টাকা।
৭. খাবারের দামের সাথে পরিমাণের সামঞ্জস্য রাখা।
৮. ৩০ টাকার মধ্যে দুপুরের খাবার ব্যবস্থা। (ভাত+ ডাল+সবজি/ডিম)
৯. সিঙ্গারা, সমুচা ও পাকরার সাইজ বৃদ্ধি।
তাদের দাবির প্রেক্ষিতে ক্যান্টিন পরিচালক বলেন, `আমাকে ৭ দিনের সময় দিতে হবে আমি সব কিছু গুছিয়ে নিচ্ছি আপনাদের যা যা দাবি আছে আমি সব পূরন করবো কিন্তু ৫,৬ নং পর্যালোচনা সাপেক্ষে পূরন করার চেষ্টা করবো।`
ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী তালহা রাইহান বলেন, `ক্লাস শেষ করে গেলে ক্যান্টিনে খাবার পাওয়া যায়না, বলে শেষ। তাহলে ক্যান্টিন থেকেও যদি খাবার না পাই তাহলে এমন কি প্রয়োজন আছে?`
আইন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন জানায়, `আমরা যারা দুর থেকে আসি ক্যান্টিন আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেদিক দিয়ে আমাদের ক্যান্টিন আমাদের কোনো কাজে আসে না। এখানে খাবারের মান খুবই খারাপ, পরিমাণেও দেওয়া হয় কম। যার ফলে বেশিরভাগ সময় বাহির থেকে খেতে হয়। ক্যান্টিন যদি আমাদের কাজে না লাগে বন্ধ করে দেওয়াই শ্রেয়।`
উল্লেখ্য, গত বছরের ২২ ডিসেম্বর ক্যান্টিনের খাবারের মানোন্নয়নের দাবিতে শিক্ষার্থীরা সিনিয়র সহকারী রেজিস্টার বরাবর গণ স্বাক্ষরসহ স্মারকলিপি জমা দেন। কিন্তু আশানুরূপ কোনো কাজ না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি পালন করেন এবং ৭ দিনের মধ্যে সমাধান না হলে ক্যান্টিনে তালা দেওয়া হবে জানান তারা।
কেএস