Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে চবি শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন

চবি প্রতিনিধি

চবি প্রতিনিধি

মার্চ ১৯, ২০২৩, ০৮:১৭ পিএম


শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে চবি শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন

শিক্ষা সফর শেষে টেকনাফ থেকে ফেরার পথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর জাহাজের স্টাফদের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

রবিবার (১৯ মার্চ) সকাল সাড়ে এগারোটায় চবি বঙ্গবন্ধু চত্বরে মানববন্ধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হকের সঞ্চলনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী, আইন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক এ. বি. এম. আবু নোমানসহ অর্থনীতি বিভাগ ও অন্যান্য বিভাগের শতাধিক শিক্ষক। মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা শিক্ষা সফরকালে চবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর ‍‍`এম ভি বে-ক্রুজ ইন্টারন্যাশনাল‍‍` জাহাজের স্টাফদের ন্যাক্কারজনক হামলার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

অভিযুক্ত জাহাজ স্টাফদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। কিন্তু, হামলার পাঁচ দিনেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই মামলার কোনো দায়িত্ব গ্রহণ না করেনি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষকবৃন্দ। তারা প্রশ্ন তোলেন, রাষ্ট্র যদি একটি নিরাপদ শিক্ষা সফরের নিশ্চয়তা দিতে না পারে তাহলে বড়ই দুঃখজনক।

হামলার সাথে সংশ্লিষ্টদের সনাক্ত করা গেছে। কিন্তু, অদৃশ্য শক্তির কারণে তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছেনা। দোষীদের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান চবি শিক্ষকবৃন্দ।

হামলার শিকার অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক মোঃ আফতাব হোসেন বলেন, আমাদের ওপর হামলার সময় বিজিবি উপস্থিত থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাদের সাথে কি বিজিবি‍‍`র কোনো যোগসাজশ রয়েছে? দেখা যাচ্ছে আমরা বাংলাদেশের কোনো জায়গায় নিরাপদ না। আমার প্রশ্ন এই ঘটনার দোষীরা এখনো কেন নির্বিচারে ঘুরে বেড়াচ্ছে? বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং এ্যলামনাইদের প্রতি আমার প্রশ্ন কেন তাদের বিচার হচ্ছে না।

মানববন্ধনে চবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে বলেন, এই ঘটনায় জড়িতদের বিচার নিশ্চিত না হলে আমাদের এই কর্মসূচি চলতে থাকবে। এই ধরনের ঘটনা যাতে আর পুনরাবৃত্তি না সে বিষয়ে প্রশাসনকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৪ মার্চ শিক্ষা সফর শেষে বেক্রুজ-১ ইটারন্যাশনাল জাহাজে করে সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফ ফিরছিলেন চবি অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। পথিমধ্যে আসনে বসাকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয় জাহাজের স্টাফরা। একপর্যায়ে দুইজন শিক্ষকসহ ১০ জন শিক্ষার্থীর উপর লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণ করে জাহাজের স্টাফরা। পরে দমদমিয়া ঘাটে পৌঁছানোর পর দ্বিতীয় দফায় আবারও হামলা চালানো হয়। এতে ২জন শিক্ষক ও ১জন ছাত্রীসহ প্রায় ২০ এর অধিক আহত হয়। জাহাজ স্টাফদের আক্রমণে ১০ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়।

আরএস

Link copied!