Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

যবিপ্রবিতে হলে আটকে রেখে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় মামলা

যবিপ্রবি প্রতিনিধি:

যবিপ্রবি প্রতিনিধি:

এপ্রিল ৪, ২০২৩, ০৭:১৩ পিএম


যবিপ্রবিতে হলে আটকে রেখে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় মামলা

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) হলে আটকে রেখে শিক্ষার্থী নির্যাতন ও চাদা দাবির  ঘটনায় অভিযুক্ত দুইজনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সোমবার (৩ এপ্রিল) যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ হতে শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. মো. আশরাফুজ্জামান জাহিদ বাদি হয়ে যশোর কোতোয়ালি থানায় উক্ত মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে যবিপ্রবির কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. শোয়েব আলী ও সালমান এম রহমানকে কে যথাক্রমে ১ ও ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী এনএফটি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের  শিক্ষার্থী মো. ইসমাইল হোসেন কে ইতিপূর্বেই দশ লক্ষ টাকা চাদা দাবিসহ বিভিন্ন সময় হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল অভিযুক্ত সালমান ও শোয়েব। তারই ধারাবাহিকতায় (২ এপ্রিল) দুপুর ১টায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ফোন দিয়ে শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের ৫২৮ নং কক্ষে ডেকে নিয়ে মারধর করে পূর্বের  দশ লক্ষ টাকা চাদা দাবি করে তারা। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী চাদা না দিলে হত্যার হুমকি প্রদান করে অভিযুক্তরা। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সালমান ও শোয়েব তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চার ঘন্টা আটকে রেখে বেল্ট, রড, জিআই পাইপ দিয়ে মারধর করে যখম করে। 

এদিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বন্ধু মারুফ, পারভেজ, নোমানসহ আরো অনেকেই তাকে হলের মধ্যে না পেয়ে খোঁজাখুজি করে। খোজাখুজির এক পর্যায়ে আনুমানিক বিকাল ৫ ঘটিকায় শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের ৫২৮ নং কক্ষে অচেতন অবস্থায় দেখে হল প্রভোস্ট ড. মো. আশরাফুজ্জামান জাহিদ কে ফোন দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা। পরবর্তীতে হল প্রভোস্ট এসে তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এবিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মঈদুল ইসলাম বলেন, ‍‍`আমরা মামলা আমলে নিয়ে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। আসামীদের ধরার চেষ্টা চলছে। আশা করছি দু-একদিনের মধ্যে তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।‍‍`

উল্লেখ্য, উক্ত ঘটনা জানতে পেরে রবিবার (২ মার্চ)  ১১ টা ৪০ মিনিটে হল পরিদর্শন করেন যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন। উক্ত রুম পরিদর্শন শেষে হল প্রভোস্ট আশরাফুজ্জামান জাহিদকে রুম সিলগালা করার নির্দেশ প্রদান করলে হল প্রভোস্ট তাৎক্ষণিক ঐ রুমটি সিলগালা করেন। 

এছাড়াও  উক্ত ঘটনার উপযুক্ত বিচারের দাবিতে গতকাল সোমবার যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন করে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর শিক্ষক ও সহপাঠীরা। ইতোমধ্যে হল অভিযুক্ত দুইজনকে শহীদ মসিয়ূর রহমান হল থেকে সাময়িক ও পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আরএস
 

Link copied!