পবিপ্রবি প্রতিনিধি
এপ্রিল ৬, ২০২৩, ০২:২৭ পিএম
পবিপ্রবি প্রতিনিধি
এপ্রিল ৬, ২০২৩, ০২:২৭ পিএম
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) স্নাতকোত্তরে ভর্তির ক্ষেত্রে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে মানদন্ড শিথিল রেখে ভর্তির দাবিতে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে করে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন পবিপ্রবি উপাচার্য।
গত বুধবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে টিএসসির কনফারেন্স কক্ষে শিক্ষক সমিতির অনুষ্ঠানের পর সেখানেই উপাচার্যসহ অন্যান্য শিক্ষকরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরে শিক্ষকদের হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে আবারো রাত ৯টায় উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। এতে রাত নয়টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত বাসভবনে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন পবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত।
জানা যায়, স্নাতকোত্তর ভর্তির ক্ষেত্রে যে মানদণ্ড রাখা হয়েছিল, এতে শুধুমাত্র মানদণ্ডের কারণেই নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বিঘ্নিত হচ্ছিল। সেটি বিবেচনায় নিয়ে পবিপ্রবি ছাত্রলীগ তাদের পাশে দাঁড়ান। পরবর্তীতে ছাত্রলীগের হস্তক্ষেপে পবিপ্রবি প্রশাসন এবারের জন্য স্নাতকোত্তর ভর্তির ক্ষেত্রে মানদন্ড শিথিল রেখে ভর্তির সুযোগ করে দেন উচ্চশিক্ষা প্রত্যাশীদের। এর এক দিনের মাথায় শিক্ষক কাউন্সিলের বিরোধিতার কারণে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন পবিপ্রবি প্রশাসন। এতে করে বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন উচ্চশিক্ষা প্রত্যাশী সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী।
আন্দোলনকারীদের একজন কে এম মহিবুল্লাহ জানান, দাবি আদায় না হলে কঠোর আন্দোলনে নামবো।
পবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাত ইসলাম খান সাগর বলেন, হঠাৎ কেনো এই সিদ্ধান্ত? কাদের ইন্ধনে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলো বিশ্বিবদ্যালয় প্রশাসন? আমরা এর জবাব চাই এবং দ্রুত পূর্বের সিদ্ধান্ত বহাল না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাবো।
পবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বলেন, শিক্ষক কাউন্সিল বিষয়টিতে বিরোধিতা করছে। যদিও ভাইস চ্যান্সেলরের সিদ্ধান্ত দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে কিন্তু এটি একাডেমিক কাউন্সিলে আমরা আলোচনার জন্য নিয়ে যাবো।
উল্লেখ্য, আন্দোলনের এক পর্যায়ে পবিপ্রবি উপাচার্য স্নাতকোত্তরে ভর্তির ক্ষেত্রে মৌখিক স্বীকৃতি দিয়েছেন।
এমএইচআর