Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

‘ছয় দফার মূল লক্ষ্য ছিল এক দফা’

মো. মাসুম বিল্লাহ

জুন ৭, ২০২৩, ০২:৪৪ পিএম


‘ছয় দফার মূল লক্ষ্য ছিল এক দফা’

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ৬ দফাকে বঙ্গবন্ধু শুধু প্রণয়ন করেননি। এটি মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। ছয় দফা বাঙালির বাঁচার দাবি। এই ছয় দফার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, এটা বাস্তবায়নে যদি একা চলতে হয়, তাহলে সেটাও চলবো। আমাদের প্রতি অর্থনৈতিক বৈষম্য ছিল। সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় আমাদের থাকার সুযোগ ছিল না।

রাজনৈতিক সিদ্ধান্তও আমরা নিতে পারতাম না। ১৯৬৫ সালে রাজনৈতিক সুবিধা দেয়ার কথা বলা হলেও তার কিছু ই দেয়া হয়নি। সেজন্য সোহরাওয়ার্দী বলেছে, মুজিব কখনোই বিশ্বাস করতো না পাকিস্তানের অধীনে থেকে আমাদের স্বাধীনতা আসবে। সে সব সময় স্বাধীনতা পেতে চাইতো।

আজ বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আবদুস সালাম হল মিলনায়তনে ৬-দফা বাঙালির মুক্তির সনদ শীর্ষক আলোচনা সভায় অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধুর আন্দোলনের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের খন্ডিত বাংলাকে বঙ্গবন্ধু গড়ে তোলেন। জাতিকে তৈরি না করে বঙ্গবন্ধু কোন কাজ করেননি। এ জন্য তিনি যুবকদের সংগঠন। এরপর ছাত্রদের সংগঠন গড়ে তোলেন। তিনি অসম্ভব দূরদর্শী মানুষ ছিলেন।

যিনি তার সমাজকে চিনতেন, বুঝতেন। মানুষের পালস বোঝার মাধ্যমে মানুষের জন্য কাজ করতে চাইতেন। সেজন্য তখন থেকেই উনি সেই লক্ষ্য কাজ করেছেন। আমাদের ভাষার উপর প্রথম আঘাত এসেছে। ওনার জীবনী আমরা কারাগারের রোজনামচার মাধ্যমে জানতে পারি।

রাষ্ট্রযন্ত্র যে অপরাধ গুলো তুলে ধরেন। সেখান থেকে বুঝতে পারি উনি ভাষা আন্দোলনের মূল নেতা ছিলেন। পাকিস্তান আমাদের নব্য উপনিবেশ করে রেখেছিল। এ থেকে মুক্তির জন্য তিনি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করেছে। সবার মতামতের ভিত্তিতে এগিয়ে গিয়েছে। এককভাবে কোন সিদ্ধান্ত নেননি।

মনি সিংহের বইয়ে বলা আছে, তিনি তখন থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে চেয়েছে। যার ফলে তার উপর এতো নির্যাতন নেমে এসেছে। বঙ্গবন্ধুর সেই অবিসংবাদিত নেতৃত্ব ও বাঙালির আশা আকাঙ্খাকে ধারণ করে এগিয়ে চলেছে। এখনো একটি দেশের উন্নয়ন কে বাধা গ্রস্ত করার জন্য এক শ্রেণি তৎপর আছে।

দেশের এখনো ষড়যন্ত্র চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ৭ জুন থেকে আমাদের শিখতে হবে। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব গণতন্ত্র ও উন্নয়নের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধু নির্বাচনের গিয়েছেন। এলোফোর অধীনে যাওয়া নিয়েও অনেকে বিভ্রান্ত করেছেন। ইতিহাস প্রমাণ করেছে।

একজন মুজিব সঠিক ছিলেন। ন্যায্য অধিকারের জন্য কাজ করেছেন। রক্ত চক্ষু কে অগ্রাহ্য করে বঙ্গবন্ধু ন্যায় তার কন্যাও এগিয়ে চলছে। অর্থনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক দিক থেকে মুক্তির জন্যই তিনি কাজ করছেন।

অধ্যাপক এম এম ফারুকের সঞ্চালনায় সভাপতি হিসেবে ছিলেন ঢাবির সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথির মধ্য আরো ছিলেন, অধ্যাপক ড. শারফুদ্দিন আহমেদ, উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ, ড. মো. ফায়েক উজ্জামান সাবেক উপাচার্য, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। অজয় দাশ গুপ্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক।

এইচআর
 

Link copied!