ইবি প্রতিনিধি
জুন ১২, ২০২৩, ০৪:২৪ পিএম
ইবি প্রতিনিধি
জুন ১২, ২০২৩, ০৪:২৪ পিএম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী ফুলপরীকে রাত ভর র্যাগিং এর ঘটনায় ছাত্রশৃংখলা কমিটির সভায় আত্মপক্ষ সমর্থন করেছে অভিযুক্তরা।
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও মুয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম এবং ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী।
সোমবার (১২ জুন) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অফিসের সভাকক্ষে ছাত্রশৃংখলা কমিটির সভায় উপস্থিত থেকে মৌখিক শুনানি দেন অভিযুক্তরা। এসময় ভুক্তভোগী ফুলপরীকেও তার অভিযোগের বাইরে কিছু থাকলে তা বলার জন্য ডাকা হয়।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ আজাদ, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সেলিনা নাসরীনসহ শৃংখলা কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে ফুলপরী বলেন, আমি গিয়েছিলাম। আমাকে তেমন কিছু জিজ্ঞেস করে নি। যে আবেদনগুলো প্রথমে দিয়েছিলাম সেগুলোতে কোন কিছু বাদ পরেছে কিনা জানতে চাইলে আমি প্রতিউত্তরে জানাই আমার সব অভিযোগ এখানে দেওয়া আছে।
অভিযুক্ত সানজিদা চৌধুরী অন্তরা বলেন, হেয়ারিং এর সময় আমি কিছু অসঙ্গতি তুলে ধরার চেষ্টা করছিলাম। তখন কর্তৃপক্ষ আমাকে বলেন, আপনার আত্মপক্ষ সমর্থনের বিশেষ কিছু থাকলে বলেন না হলে যেতে পারেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ আজাদ বলেন, এর আগে তারা শোকজ এর জবাব দিয়েছিলো। গত মিটিং এ সেসব বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে। আমাদের আইনি প্রক্রিয়ার জন্য চুড়ান্ত প্রক্রিয়ায় যেটা করতে হয় একটা মৌখিক হেয়ারিং তারা যা জবাব দিয়েছিল এর বাহিরে নতুন কোন বক্তব্য আছে কিনা সে জন্য ডাকা হয়েছিল। তারা সশরীরে উপস্থিত হয়ে মৌখিক হেয়ারিং এ অংশ করেছে এবং কর্তৃপক্ষ তাদের বক্তব্য আমলে নিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলিনা নাসরীন বলেন, নিজেদেরকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য তারা আজকে বক্তব্য দিয়েছে। এর আগে লিখিত দিয়েছিলো আজকে মৌখিক ভাবেও নেয়া হয়েছে। এখন পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ, লিখিত ও মৌখিক জবানবন্দী সবকিছু পর্যলোচনা করে তারপরই চূড়ান্ত হবে।
প্রসঙ্গত, ৩০ মে পাঁচ অভিযুক্তের দেয়া শো-কজের জবাব পর্যলোচনা করে এর বাইরে অভিযুক্ত এবং ভুক্তভোগীর কিছু বলার থাকলে তা আজকের সভায় সমর্থন করতে বলা হয়।
এআরএস