পবিপ্রবি প্রতিনিধি
আগস্ট ১৬, ২০২৩, ০৮:২৩ পিএম
পবিপ্রবি প্রতিনিধি
আগস্ট ১৬, ২০২৩, ০৮:২৩ পিএম
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(পবিপ্রবি) কীটতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. এস এম হেমায়েত জাহানকে পরিক্ষা চলাকালীন সময়ে কক্ষে তালা মেরে আটকে রাখার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতিকে দায়ী করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক ড. হেমায়েত জাহান।
অন্যদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন এবং অর্ধ- দিবস ক্লাস-পরিক্ষা বর্জন করেছে পবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি।
বুধবার (১৬ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয় কৃষি অনুষদ ভবনের সামনে দুপুর সাড়ে ১২টায় শিক্ষক সমিতির ব্যানারে এই প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শিক্ষক নেতারা। প্রতিবাদ স্বরুপ আজ(বুধবার) অর্ধ কার্যদিবস সকল ধরনের ক্লাস-পরিক্ষা বর্জন করেন। উক্ত ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত শাস্তির আওতায় না আনলে কঠোর কর্মসূচীতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক জেহাদ পারভেজ তার বক্তব্যে বলেন, ‘এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কাম্য নয়। এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে সেজন্য ধারাবাহিকভাবে কিছু কর্মসূচী ঘোষণা করেছি। আমাদের দাবি মেনে না নিলে কঠোর কর্মসূচি হাতে নিব।’
কক্ষে তালা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. হেমায়েত জাহান বলেন, " পবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাত ইসলাম খান সাগর ঘটনার আগে আমার কাছে এসে সিনথি কানিজ ফারহানকে নামের এক ছাত্রীকে পাস করিয়ে দিতে জোর করে। এসময় তিনি বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন আইন নাই সাগর যা বলবে ঐটাই আইন। এই বেআইনি দাবি না মানাই রুমে তালা দেওয়ার মূল কারন হিসেবে আমি ধারণা করছি।
এছাড়াও কয়েকদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউট্যাবের কমিটির হয়েছে যার সাধারণ সম্পাদক আমি। এ জন্যও রুমে তালা দিলেও দিতে পারে।
অভিযোগের বিষয়ে পবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাত ইসলাম খান সাগর বলেন, ‘সে অন্য আদর্শের শিক্ষক সংগঠনের নেতৃত্ব দেয় এজন্য ছাত্রলীগকে বিব্রত করতে এ ধরনের বিবৃতি দিয়েছেন তিনি। তিনি আরো বলেন, আমি এক আদর্শ এবং তিনি অন্য আদর্শের রাজনীতি করায় আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দিয়েছেন।’
জানা যায়, ১৪ আগস্ট দুপুর ২টা ৪০মি. দিকে কতিপয় শিক্ষার্থী ইউট্যাবের সাধারণ সম্পাদক ও কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম হেমায়েত জাহানকে অফিস কক্ষে কর্তব্যরত অবস্থায় বাহির থেকে দরজায় তালা লাগিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। মুঠোফোনে খবর পেয়ে উক্ত বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষকের উপস্থিতিতে কর্মচারীগণ তালা ভেঙ্গে উক্ত শিক্ষককে মুক্ত করেন।
এআরএস