Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪,

সামন্ততান্ত্রিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে: সৌমিত্র শেখর

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

অক্টোবর ১৭, ২০২৩, ০৯:২৯ পিএম


সামন্ততান্ত্রিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে: সৌমিত্র শেখর

সামন্ততান্ত্রিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর।  তিনি বলেন, আমাদের চারিদিকে সামন্ততান্ত্রিকতা গ্রাস করে ফেলেছে তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আধুনিকতা ও সামন্ততান্ত্রিকার মধ্যে যে পার্থক্য এরমধ্যেই স্মার্টনেসের একটা পার্থক্য আছে।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) আয়োজিত কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে পৌঁছুতে হলে আমাদের স্মার্ট ক্যাম্পাস গড়তে হবে। আমাদের নিজেদের মধ্যে স্মার্টনেসকে তৈরি করতে হবে। আজকে নিরক্ষরতার সংজ্ঞা পাল্টে গেছে। লেখাপড়া না জানাকেই এখন আর নিরক্ষরতা বলে না। নাম লিখতে না পারাকে নিরক্ষরতা বলেনা। আজকে নিরক্ষরতার ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তিও যুক্ত হয়েছে। অর্থাৎ আজকে কোনো মানুষ যদি তথ্য প্রযুক্তিতে অজ্ঞ থাকে তাহলে কিন্তু তাকে ওই অর্থে শিক্ষিত বলা চলে না। তাই বর্তমান যুগ হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে শিক্ষিত হবার যুগ।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখরের সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধনী সেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক  ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ইনোভেশন টিমের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোসাম্মৎ. জান্নাতুল ফেরদৌস।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, প্রযুক্তি ও গবেষণার মধ্যে সমন্বয় করার মধ্যদিয়ে একটি আধুনিক, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নেতৃত্ব দিতে হবে। আর সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণাকে ধারণ করতে হবে। গবেষণার মধ্যদিয়ে নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করতে হবে

দিনব্যাপী কর্মশালায় সম্পদব্যক্তি হিসেবে বক্তব্য দেন ইউজিসির অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহীন সিরাজ ও সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার দ্বিজেন্দ্র চন্দ্র দাস।

এআরএস

Link copied!