Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪,

শিক্ষার মান উন্নয়নে ইবিতে শুদ্ধাচার কর্মশালা

ইবি প্রতিনিধি

ইবি প্রতিনিধি

নভেম্বর ৮, ২০২৩, ০৫:৫৩ পিএম


শিক্ষার মান উন্নয়নে ইবিতে শুদ্ধাচার কর্মশালা

ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্ম-পরিকল্পনা ২০২৩-২৪ এর আওতায় ‍‍`শিক্ষার মান উন্নয়নে শুদ্ধাচার চর্চা‍‍` বিষয়ক  কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (৮ নভেম্বর) বিজ্ঞান অনুষদ, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ এবং জীববিজ্ঞান অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক এবং প্রভাষকবৃন্দের অংশগ্রহণে সকাল ১০টা ৪৫মিনিটে পুরাতন বিজ্ঞান ভবনের ২০৩ নম্বর কক্ষে এ কর্মশালা শুরু হয়।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম উপস্থিত ছিলেন। উপ-উপাচার্য ও এপিএ টিমের আহŸায়ক অধ্যাপক ড. মো: মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো: আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া।

রিসোর্স পার্সন ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শিপন মিয়া। স্বাগত বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ. এম. আলী হাসান। সঞ্চালনায় ছিলেন উপ-রেজিস্ট্রার (প্রশাসন) ও ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা চন্দন কুমার দাস।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, যার যা আচরণ তা যেন আমরা শুদ্ধভাবে করতে পারি। এজন্য আমাদের ভেতরের আমিকে পরিবর্তন করতে হবে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে এই পরিবর্তন যত দ্রুত ঘটনা যাবে তার ওপর নির্ভর করবে এই প্রোগ্রামের সফলতা।

এই আয়োজনগুলো থেকে আমরা নিজেদেরকে শুদ্ধ করতে চাই। এখান থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপায়ণের কারিগর হতে চাই। তিনি বলেন, শিক্ষকরা যদি যথাযথভাবে প্রস্ততি নিয়ে কোয়ালিটি লেকচার প্রদান করেন তাহলে একদিকে যেমন শিক্ষার মানোন্নয়ন হবে, শিক্ষার্থীদের পঠন-পাঠনের মানের ক্ষেত্রে তাঁদের একটা ভূমিকা থাকবে, পাশাপাশি নিজেদেরকে আরও যোগ্য করে গড়ে তোলা যাবে। সব ক্লাস লেকচার সময়মতো সম্পন্ন করা এবং নির্মোহ মূল্যায়নের মাধ্যমে শুদ্ধাচারী হওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, বিশ্বায়ন এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে সমাজ বিনির্মাণের কারিগর হিসেবে শিক্ষকগণ সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারেন। তিনি বলেন, একজন শিক্ষককে নিজেকেই নিজের রেসপন্সিবিলিটি এবং কমিটমেন্ট সম্পর্কে চিন্তা করতে হবে। আমরা যদি প্রত্যেকেই নিজেরা নিজেদেরকে চর্চা করি, দায়িত্ব সম্পর্কে আরও যত্নশীল হই তাহলে শুদ্ধাচার চর্চায় এগিয়ে যাব এবং জাতি ও দেশ গঠনে ভুমিকা রাখতে পারবো।

এই্চআর

Link copied!