হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
নভেম্বর ৯, ২০২৩, ০৯:২৫ পিএম
হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
নভেম্বর ৯, ২০২৩, ০৯:২৫ পিএম
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মহাবলিপুরের কামিনী রায় ছাত্রাবাস থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ওই শিক্ষার্থীর নাম গৌড় চন্দ্র। তার বাসা নীলফামারীর ডোমার থানায়। তার পিতার নাম ভুবন রায়। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ২৩ ব্যাচের (২০২২-২৩) ‘এ’ সেকশনের শিক্ষার্থী।
তার সহপাঠী ও রুম্মেটের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সে ইন্ট্রোভার্ট প্রকৃতির ছিলো। ঘটনার দিন তার বন্ধুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অদূরে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। তার রুম্মেট তাকে সাথে যেতে বললে তার মাথাব্যথা করছে বলে জানায় এবং সে রুমেই অবস্থান করে।
তার রুম্মেট বিকেল আনুমানিক চারটার দিকে রুমে এসে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পান। তারপর সে আশেপাশের রুমের ছেলেদের ডাকেন। তখন তারা জোরে-জোরে দরজা ধাক্কালেও ভেতর থেকে সাড়াশব্দ না পেয়ে রুমের ভেন্টিলেটর ভেঙে ভেতরে তাকে (গৌরকে) ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। এরপর সে তার বন্ধুবান্ধব ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানায়।
ঘটনাটি জানার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র পরামর্শ বিভাগের পরিচালকের সাথে প্রক্টরিয়াল ও ছাত্র পরামর্শ শাখার টিম ও অন্যান্য শিক্ষকরা উপস্থিত হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশীদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর এমন অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। বিষয়টি জানার পরই আমাদের তরফ থেকে পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশের উপস্থিতিতে মৃত শিক্ষার্থীকে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এম্বুলেন্সে করে পাঠানো হয়। তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যেই বিষয়টি তার পরিবারকে অবহিত করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মাহাবুব হোসেন বলেন, এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমরা নবীন শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত।
এ বিষয়ে দিনাজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিন্নাহ বলেন, আমরা পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে এটিকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করছি। ময়না তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
নিহত শিক্ষার্থীর সহপাঠীদের ধারণামতে সে প্রেমঘটিত বিষয়ে মানসিকভাবে অস্থিরতায় ছিলো। সেই থেকে এধরণের পদক্ষেপ নিয়ে থাকতে পারে মনে করে তারা।
এআরএস