নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪, ০৯:৪৯ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪, ০৯:৪৯ পিএম
নবম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের ১৪৯ পৃষ্ঠায় উল্লেখিত ভুল মানচিত্রের উপস্থাপন করা হয়েছে। মানচিত্রে গোঁজামিলভাবে ইসরাইলকে দেখানো হয়েছে। এছাড়া আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়াকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে ফিলিস্তিনের নাম দেয়া হয়নি।
সম্প্রতি এ নিয়ে মুসলমানদের স্বর্ণকণিকা ওয়েবসাইটে আলোচনা করা হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, জেরিকোর প্রাচীন মানচিত্রের স্থানে আধুনিক মানচিত্র ও দেশের অবস্থান দেয়া হয়েছে। অথচ এখানে বৈধ ফিলিস্তিনের নাম নেই। জেরিকোর সময়কালীন জুদাহ ও ইসরাইলকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছে কিন্তু এখানেও তারা বড় ধরনের ভুল করে রেখেছে। প্রথমত জেরিকো নগরীর সময়কাল ও জুদাহ/সমারার সময়কাল সম্পূর্ণ ভিন্ন। দ্বিতীয়ত মানচিত্র দেখলে মনে হয় ইসরাইলের কোনো শহর ছিল জুদাহ। কিন্তু প্রকৃত প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। জুদাহ ছিল দক্ষিণের রাজ্য ও ইসরায়েলের উত্তরের, সেই অনুযায়ী জুদাহের অবস্থান মানচিত্রে নিচের দিকে এবং ইসরায়েলের অবস্থান উপরের দিকে হবে।
উল্লেখ্য, এই এলাকা এরো বহু আগে থেকে ফিলিস্তিন নামে বহির্বিশ্বে পরিচিত ছিল তাই এমন মনে করার কিছু নেই যে ইসরাইল আগে এসেছে। মূলত জুদাহ ও ইসরাইল রাজ্য ভাগ হওয়ার ঘটনা সুলাইমান আ. এর ছেলে রেহোবামের রাজত্বকালে।
মানচিত্রে জুদাহকে কেনো জুড়িয়া নামে অভিহিত করা হয়েছে? যেখানে সঠিক উচ্চারণ জুদাহ ও জুডাহ। গাজাকে মানচিত্রে গাম্বিয়া বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে গাম্বিয়া পশ্চিম আফ্রিকার একটি দেশ।
এ ব্যাপারে ওয়েবসাইটটির লেখকরা মনে করেন, বইয়ের মানচিত্রে যেই সীমানা দেখানো হয়েছে সেটা কোনোভাবেই প্রাচীন মানচিত্র না বরং আধুনিক মানচিত্রে উল্টোভাবে জুদাহ ও ইসরাইলেলের নাম যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
প্রাচীন জেরিকো নগরী - আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ৬৫০০-৯৫০০, জুদাহ/সামারা দুই রাজ্য- আনুমানিক খ্রিষ্টপূর্ব ৯৭০-৭২০ এবং আশেপাশে মিশর, সিরিয়া, লেবানন, জর্ডান - ১৯৪৬ এর পরে। তাহলে প্রশ্ন হলো বইয়ে দেওয়া মানচিত্রে এই তিনটা টাইমলাইনকে তারা কীভাবে মেলালেন?
নাইমুল/ইএইচ