ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪, ০৪:১৮ পিএম
ভাষার শক্তি জাতীয়তাবাদী শক্তিকে সুদৃঢ় করে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘বাঙালির জীবনে এই ভাষার প্রভাব সর্বব্যাপী। দুই বাংলার মানুষের মধ্যকার আন্তঃসম্পর্কের নতুন মাত্রার প্রধান অনুষঙ্গ ভাষা এবং সংস্কৃতি।’
আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ প্রাক্তনী সংসদ ও বঙ্গ সাহিত্য সমিতির সহযোগিতায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে অমর একুশের অনুষ্ঠানমালার ‘সংযোগ ২০২৪’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য ড. মশিউর রহমান।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বলেন, ‘ভারত থেকে যারা এখানে একুশের অনুষ্ঠানমালা আয়োজন করতে এসেছেন তাদের মধ্যে ঋদ্ধতা রয়েছে। সেটি হয়তোবা ভাষার সূত্রে গাথা। তারও ভেতরে রয়েছে আমাদের অভিন্ন সংস্কৃতির শক্তি। ভারত-বাংলাদেশের যে সম্প্রীতি সেটি ঐতিহাসিক এবং প্রাণবন্ত।
বাংলাদেশের যেকোনো সংকটকালে এই সম্পর্ক আরও বেশি সুদৃঢ় হয়। যখন বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টির আন্দোলন হয়েছে তখনও ভারত আমাদের কোটি কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে পাশে থেকেছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ যেকোনো উন্নয়নে সেই ধারাবাহিকতা এখনো অব্যাহত রয়েছে।’
উপাচার্য ড. মশিউর রহমান আরও বলেন, ‘ইতিহাসের অনুসন্ধানে ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধন সারাজীবনের। অনেকের বক্তব্যে বেরিয়ে এসেছে ভাষা কখনো কখনো বড় ভাষার ও বড় অর্থনীতির চাপে পড়ে। কিন্তু যেই ভাষা তার নিজস্ব কৃষ্টি, সংস্কৃতি এবং শক্তিকে বাড়াতে পারে। যেই ভাষায় একজন রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্ত, শরৎ থাকে সেই ভাষায় আঘাত হানলে তার প্রতিঘাত সৃষ্টি হয়।
রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যের শক্তি, নজরুলের কাব্যের শক্তি, ভাষা শহিদদের আত্মত্যাগের শক্তিই হচ্ছে আমাদের অনুপ্রেরণা। যত বড় আঘাতই আসুক না কেন সেই অনুপ্রেরণা ভাষার শক্তিকে পুনর্বার ব্যক্ত করবে। বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষা যে মর্যাদা পেয়েছে, যে স্বীকৃতি পেয়েছে- আমরা ভাগ্যবান এই ভাষার শক্তি দিয়েই বিশ্বে আমাদের অর্থনৈতিক শক্তিকে নেতৃত্ব পর্যায়ে নিতে সক্ষম হব।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, ময়মনসিংহের ত্রিশালের কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর।
এছাড়া কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের উপাধ্যক্ষ জোসেফ কুলাণদাই, সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস রেক্টর ফাদার জোসেফ রাজ, বিজ্ঞান অনুষের ডিন ফাদার আরক এন্টনি, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ফাদার অনীল গোমস, বাংলাদেশের সেন্ট জেভিয়ার্স প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ফাদার মিল্টন কোস্টা, ফাদার প্রবাস রোজারিও, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের প্রাক্তনী সংসদের সদস্য দীপন দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এইচআর