বেরোবি প্রতিনিধি
মার্চ ১৩, ২০২৪, ০৮:৪৫ পিএম
বেরোবি প্রতিনিধি
মার্চ ১৩, ২০২৪, ০৮:৪৫ পিএম
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ইফতার পার্টিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার প্রতিবাদে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবির) সাধারণ শিক্ষার্থীরা গণ-ইফতার কর্মসূচি পালন করেছে।
বুধবার (১৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারকে এই গণ-ইফতার আয়োজন করা হয়।
এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের কয়েক শ’ শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
শিক্ষার্থীরা আসরের নামাজের পর থেকেই একে একে জড় হতে থাকে। এরপর তারা ইফতার পার্টিতে নিষেধাজ্ঞার জবাবে বিভিন্ন বক্তব্য প্রদান করেন।
শিক্ষার্থী আসিফ হাসান বলেন, বাংলাদেশের মুসলমানদের হাজার বছরের ঐতিহ্য রোজা রাখা, ইফতার করা। কোনো একটা গোষ্ঠী চক্রান্ত করে মুসলমানদের সংস্কৃতিতে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে। এক প্রতিবাদে আমরা আজ গণেশ তার আয়োজন করেছি। আমাদের এই অপশক্তিদের জবাব দিতে হবে। এর জববে সারাদেশে গণসচেতনতা তৈরীর বিকল্প নেই।
শিক্ষার্থী আলতাফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ।এখানে সবার নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার রয়েছে। কারো ধর্ম পালনে বাঁধা দেওয়া বা তার ধর্মীয় আবেগে আঘাত দেওয়ার অধিকার কারো নেই। কিন্তু শাবিপ্রবি ও নোবিপ্রবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ইফতার পার্টির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তাই আমরা শাবিপ্রবি ও নোবিপ্রবি প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদস্বরূপ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে গণ ইফতারের আয়োজন করেছি।`
এছাড়া এ সময় শিক্ষার্থীরা রোজার গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং শাবিপ্রবি ও নোবিপ্রবিতে ইফতার পার্টিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় দুই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
শিক্ষার্থীদের বক্তব্য শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমামের মোনাজাতের পর ইফতারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এই গণ ইফতার কর্মসূচি শেষ করেন।
আরএস