জবি প্রতিনিধি
মার্চ ১৭, ২০২৪, ১১:০৫ এএম
জবি প্রতিনিধি
মার্চ ১৭, ২০২৪, ১১:০৫ এএম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় শনিবার (১৬ মার্চ) বিক্ষোভ মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কিন্তু শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ও ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, আন্দোলন প্রথমে শুরু করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এরপর শনিবার বিকেলে বাম সংগঠনের নেতাকর্মীরা হঠাৎ করে সামনে আসে। `ফুটেজ` খাওয়ার জন্য কাউকে কিছু না জানিয়ে ব্যানারের সামনে এসে ৬ দফা পেশ করা হয়েছে দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় আন্দোলনও দ্রুত শেষ করার অভিযোগও তোলা হয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী নাইম রাজ বলেন, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা চেয়েছিলাম আন্দোলন আরেকটু বড় করে হবে। তবে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের কয়েকজন হঠাৎ এসে ক্রেডিট নেয়ার জন্য চলে আসে। তারা হঠাৎ করে দাবি উত্থাপন করে। অথচ কি কি দাবি তুলবে আমরা কিছুই জানতাম না। এখানে তারা বাইরের প্রাইভেট ও ইভিনিং ছেলে নিয়ে আসে। তখন রানিং সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করে। আমরা যারা আগে থেকে আন্দোলন করছি তাদের রেখে তারা ফুটেজ নেয়ার জন্য দাবিগুলো বলে। পরে একটু হট্টোগোল হলে আমি সিনিয়র হিসেবে মীমাংসা করি। আন্দোলনকে বেগবান করতেই আনা হয়েছিল তাদের।
এবিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাবেক সহ-সভাপতি নেত্রী সুমাইয়া সোমা বলেন, আন্দোলনের মাঝে সিনিয়র-জুনিয়র ইস্যু নিয়ে ঝামেলা হয়। যে শিক্ষার্থীর সাথে ঝামেলা হয় তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইভিনিংয়ের শিক্ষার্থী। উনি বোধহয় ছাত্র ইউনিয়নে ছিলেন। উনি এখনো ছাত্র ইউনিয়নে আছেন কিনা বা পোস্টেড কিনা এটা আমি জানিনা।
এআরএস