Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪,

সাংবাদিক সমিতি বন্ধ করলে টিউশন ফি মওকুফের প্রলোভন দেখান প্রক্টর

ডিআইইউ প্রতিনিধি

ডিআইইউ প্রতিনিধি

মার্চ ২৩, ২০২৪, ০৩:১৩ পিএম


সাংবাদিক সমিতি বন্ধ করলে টিউশন ফি মওকুফের প্রলোভন দেখান প্রক্টর

সম্প্রতি দুর্নীতি-অনিয়ম, সিজিপিএ বিক্রি ও নারী কেলেঙ্কারির মতো ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ডিআইইউ) সাংবাদিক সমিতির কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ এবং সাংবাদিকতা পেশায় নিযুক্ত ১০ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এ ঘটনায় সারাদেশে চলছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা। এরই মধ্যে ফাঁস হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেনের সাথে সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি মুছা মল্লিকের একটি কল রেকর্ড। যেখানে সাংবাদিক সমিতি বন্ধ করলে মুছা মল্লিকের সমস্ত টিউশন ফি মওকুফ করার প্রস্তাব দেন প্রক্টর। কিন্তু মুছা মল্লিক তা প্রত্যাখান করেন৷ এবং ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতা করার অধিকার চান।

জানা যায়, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সাংবাদিক সমিতি ২০২০ সাল থেকে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এ সময়ের মধ্যে তারা বিভিন্ন সময় দুর্নীতি-অনিয়ম, রেজাল্ট বিক্রি ও নারি কেলেঙ্কারির মতো বিষয় নিয়ে সাহসিকতা ও নিষ্ঠার সাথে সংবাদ করে।

সর্বশেষ তারা বসন্ত উৎবের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন করা হয়। এরই সূত্র ধরে গত বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন ও রেজিস্ট্রার (ইনচার্জ) মো. আবু তারেক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। যেখানে সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত দশ শিক্ষার্থীকে এ বহিষ্কারাদেশ দেয়া হয়।

এদিকে, সাংবাদিক সমিতি বন্ধ করলে টিউশন ফি মওকুফ করে দেয়ার কল রেকর্ডটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি মুছা মল্লিককে বলছেন, ‘সিভিলের ওই বিষয়টা নিয়ে তোমরা বেশি লেখালেখি করার কারণে কর্তৃপক্ষ আরো নাখোষ হয়েছে। তুমি যদি লেখাপড়া করতে চাও তাহলে এটা নিয়ে হয়ত অথরিটির সাথে তোমার পক্ষ হয়ে কথা বলে যতদূর পারি, হয় ফুল ফ্রি নয়তো যতদূর পারি আমি তোমার টিউশন ফি মওকুফ করে দিবো। এখন সেটা যদি তুমি চাও’।

পরবর্তীতে রেকর্ডে শোনা গেছে, মুছা মল্লিক সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছেন৷ এবং বলেছেন আমরা সাংবাদিকতা করার অধিকার চাই৷

অডিও ফাঁস হওয়ার পরপরই প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন ব্যক্তিগতভাবে মেসেজ দিয়ে মুছা মল্লিককে জানান, তোমাকে টিউশন ফি’র ব্যাপারে হেল্প করা কি আমার অপরাধ ছিল? আমার পারমিশন ছাড়া ভয়েজ রেকর্ড করা কি জার্নালিজমের এথিকসে পড়ে?

এ বিষয়টি নিয়ে পরে তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। এদিকে অডিও ফাঁসের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বইছে সমালোচনার ঝড়।

ইএইচ

Link copied!