Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪,

ভিকারুননিসায় অবৈধভাবে ভর্তি আরও ৩৬ ছাত্রী

আমার সংবাদ ডেস্ক:

আমার সংবাদ ডেস্ক:

মার্চ ৩০, ২০২৪, ০১:২০ পিএম


ভিকারুননিসায় অবৈধভাবে ভর্তি আরও ৩৬ ছাত্রী

সম্প্রতি ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজে আরও ৩৬ শিক্ষার্থীকে অবৈধভাবে ভর্তির তথ্য ফাঁস হয়েছে। এর আগে বয়স জটিলতার কারণে অবৈধভাবে ১৬৯ জন ছাত্রীর ভর্তির ঘটনা ঘটে।

এই শিক্ষার্থীদের তথ্য যাচাই করতে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনের নির্দেশে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রাথমিক তদন্তে এ শিক্ষার্থীদের ভর্তি অবৈধ বলে প্রমাণ মিলেছে।  

জানা গেছে, বরখাস্ত হওয়া একজন সহকারী প্রধান শিক্ষকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই ৩৬ শিক্ষার্থীর ভর্তির তথ্য যাচাই-বাছাই করতে তদন্ত কমিটি গঠন করে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার অফিস।

কমিটির আহ্বায়ক ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন— প্রতিষ্ঠানটির ধানমন্ডি প্রভাতি শাখার প্রধান মাহমুদ আহমদ, মূল দিবা শাখার প্রধান শাহ আলম, বসুন্ধরা দিবা শাখার প্রধান জগদীষ চন্দ্র পাল, মূল দিবা শাখার সিনিয়র শিক্ষক চাঁদ সুলতানা ও আজিমপুর প্রভাতি শাখার সিনিয়র শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আকন্দ।

তদন্তে ইতোমধ্যে ভর্তি জালিয়াতির প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে কমিটি। এর প্রেক্ষিতে ভর্তি সংশ্লিষ্টদের কাছে গত ২৫ মার্চ একটি চিঠি পাঠিয়েছেন তদন্ত কমিটি। জালিয়াতির মাধ্যমে ৩৬ শিক্ষার্থীর ভর্তির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী তদন্তাধীন বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

এদিকে ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর বরখাস্ত করা হয় মূল ক্যাম্পাসের দিবা শাখা (বাংলা ভার্সন) প্রধান মো. শাহ আলম খানকে। ছাত্রী ভর্তিতে তাকে দায়ী করা হলে ভর্তি কমিটির অনিয়মের বিষয়টি গভর্নিং বডির সভাপতি ও ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারের কাছে লিখিতভাবে তুলে ধরেন তিনি।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারির লিখিত অভিযোগে মো. শাহ আলম খান জানান, মূল প্রভাতি বাংলা ভার্সনে ৯ জন, মূল দিবা বাংলা ভার্সনে ২ জন, মূল প্রভাতি ইংরেজি ভার্সনে ২ জন, মূল দিবা ইংরেজি ভার্সনে ৪ জন, ধানমন্ডি দিবা শাখায় ৩ জন, বসুন্ধরা প্রভাতি শাখায় ২ জন, বসুন্ধরা দিবা শাখায় ৩ জনসহ মোট ৩৬ জনকে মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে জাল সনদ ব্যবহার করে ভর্তি করা হয়। ভর্তির ফরম বাছাইয়ে নীতিমালার ৪ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাদের ভর্তি বাতিলযোগ্য।

লিখিত অভিযোগে অনিয়মের তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধও জানান শাহ আলম। এরপর তদন্ত শুরু করে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ঢাকা অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান প্রথম শ্রেণিতে ৩৬ জন ছাত্রী ভর্তির বিষয়ে পরবর্তী চার কর্মদিবসের মধ্যে চিঠির মাধ্যমে জবাব দাখিলের নির্দেশ দেন ভর্তি সংশ্লিষ্টদের। জবাব পাওয়া না গেলে ‘এ বিষয়ে কোনও বক্তব্য নেই’ মর্মে গণ্য হবে বলে ওই চিঠিতে জানানো হয় ।

বিআরইউ

Link copied!