Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

সেশনজটের কবলে বশেমুরবিপ্রবির আর্কিটেকচার বিভাগ

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি

মার্চ ৩০, ২০২৪, ০৭:৪০ পিএম


সেশনজটের কবলে বশেমুরবিপ্রবির আর্কিটেকচার বিভাগ

একদিকে শিক্ষক সংকট আরেকদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের অবহেলায় দীর্ঘদিন ধরে সেশনজটে ভুগছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) আর্কিটেকচার বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে বছরের পর বছর শিক্ষার্থীরা উপাচার্য দপ্তরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করলেও মিলেনি কোনো সমাধান। এতে করে অ্যাকাডেমিক অগ্রগতি ব্যাহত হওয়ায় ফলাফল প্রাপ্তিতে ও চাকরির বাজারে পিছিয়ে পরছেন তারা।

সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে বিভাগটিতে রয়েছে ৫টি ব্যাচ। ৫ ব্যাচে ১৫০ জন শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে মাত্র ৪ জন শিক্ষক দিয়ে। অন্যান্য ৩ জন খণ্ডকালীন শিক্ষকের অস্থায়ী নিয়োগের অনুমোদন হলেও দাপ্তরিক প্রক্রিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে আটকে আছে সেই নিয়োগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের স্নাতক শেষ হলেও,  আর্কিটেকচার বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের চলতি মাসে তৃতীয় বর্ষ শেষ হয়েছে।

এছাড়াও ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের তৃতীয় বর্ষে থাকার কথা থাকলেও তারা পড়ছেন দ্বিতীয় বর্ষে। আবার ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা গত ২ বছরেও শেষ করতে পারেনি তাদের প্রথম বর্ষ। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের গত ডিসেম্বরে প্রথম সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হলেও দ্বিতীয় সেমিস্টারের পাঠদান শুরু হয় চলতি মাস থেকে।

পাশাপাশি ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের পাঠদান গত নভেম্বরে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয় চলতি মাস থেকে। অন্যদিকে পর্যাপ্ত শিক্ষক ও প্রয়োজনীয় শ্রেণিকক্ষ না থাকায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান বন্ধ থাকা ও তাদের ডিজাইনের কাজ না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা পাঠগ্রহণে চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছেন।

শিক্ষার্থীদের দাবি, আর্কিটেকচার বিভাগের মতো বাস্তব ধর্মী বিভাগের শিক্ষার্থী হয়েও তারা পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ না পাওয়ায় আশাহত হচ্ছেন। তারা চলমান সংকট সমাধানের দাবিতে দশবারের বেশি সময় উপাচার্যের কাছে গেলেও তাদের দাবি আদায়ের বিষয়ে গেলেও তিনি যথাযথ কোনো ব্যবস্থা নেননি।

এ বিষয়ে আর্কিটেকচার বিভাগের সভাপতি ড. সালেহ আহমেদকে একাধিকবার মুঠোফোনে ফোন করা হলেও তিনি কল ধরেননি।

আর্কিটেকচার বিভাগের আরেক শিক্ষক আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, শ্রেণিকক্ষের অভাবে একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাস রুমে বসতে দিতে না পারা ও শিক্ষক সংকটের কারণে পাঠদান ব্যাহত হওয়ার বিষয়টি লজ্জাজনক। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অতি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।

রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান বলেন, শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে আমাদের কমিটি আছে। তাদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব বলেন, আমরাতো এসব সংকট সমাধানে কাজ করছি। কিন্তু ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা বেশ বেয়াদব। তারা তাদের দাবি আদায়ে আমাকে ও উপ-উপাচার্যকে আটকে রেখে আন্দোলন করতে চায়। বিষয়টি বেমানান।

ইএইচ

Link copied!