ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
এপ্রিল ৭, ২০২৪, ০৫:০৬ পিএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
এপ্রিল ৭, ২০২৪, ০৫:০৬ পিএম
এ বছর বাংলা নববর্ষের আগেই পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি। টানা ৬ দিন অফিস বন্ধ থাকার কারণে মানুষ নাড়ির টানে গ্রামের বাড়িতে ছুটছে। তাই এবারের বাংলা নববর্ষ উদযাপন তেমন জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে না- এটা ধরে নিয়েই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ধীর গতিতে চলছে বাংলা নববর্ষের প্রস্তুতি!
রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ চত্বরে সরেজমিনে দেখা যায়, মাত্র অল্প কয়েকজন চারুশিল্পী রঙ এবং তুলিতে বাংলা নববর্ষের বিভিন্ন চিত্রকর্ম আঁকছে! সাথে কোন নির্দেশক নেই। ইতিপূর্বে আঁকা কিছু চিত্রকর্ম প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে। এসব চিত্রকর্মের মধ্যে রয়েছে প্যাঁচা, নৌকা, ষাঁড়, মাছ ইত্যাদি। প্রদর্শনী দেখাশোনা করছে মাত্র একজন ছাত্রী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের একটি বিভাগের এক ছাত্রী জানান, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ২০২১-২২ সেশনের ছাত্রী। আমার রোকেয়া হল হলেও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঢাকার বাসায় থাকি। এবারের ঈদের ছুটিতে সবাই বাড়ি চলে গেছে। আমি ঢাকায় থাকি বলেই এখানে আছি। বাংলা নববর্ষের সাথে আমাদের চারুকলা অনুষদের একটা আত্মার সম্পর্ক। কিন্তু টানা ৬ দিন ছুটির কারণে এবারের বাংলা নববর্ষ তেমন একটা জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে না। তাই ধীর গতিতে চলছে আমাদের কাজ।
এদিকে দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের জয়নুল গ্যালারি-২ তে মঙ্গল শোভাযাত্রা উদযাপন উপ-কমিটি এবং বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সংবাদ সম্মেলনে এবারের বাংলা নববর্ষ উদযাপন নিয়ে ‘হতাশার সুর’ দেখা গেছে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের মাঝে।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ।
এতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন, প্রক্টর অধ্যাপক ডক্টর মাকসুদুর রহমান, নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্তসহ কয়েকজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।
চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন জানান, সবাই গ্রামের বাড়িতে হলেও যেন বাংলা নববর্ষ উদযাপন করে এবং গণমাধ্যম যেন সেটা প্রচার করে।
ইএইচ