কুবি প্রতিনিধি:
এপ্রিল ২৮, ২০২৪, ০৭:৫৩ পিএম
কুবি প্রতিনিধি:
এপ্রিল ২৮, ২০২৪, ০৭:৫৩ পিএম
‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম. আবদুল মঈনের কার্যালয় হলো টেরোরিস্ট ট্রেনিং সেন্টার এবং ওনার বাংলো হলো সাব সেন্টার’, বলে মন্তব্য করেছেন কুবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান।
রোববার (২৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১২ টায় সাবেক শিক্ষার্থী, চাকরি প্রার্থী ও বিভিন্ন মামলার আসামি কর্তৃক শিক্ষকদের উপর হামলার পর তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, উপাচার্য তার অপকর্ম ঢাকার জন্য সাবেক শিক্ষার্থীদের নিয়ে চাকরির প্রলোভনে নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেছেন। আজকে উপাচার্য কার্যালয়ে প্রবেশের সময় এই সন্ত্রাসী বাহিনী শিক্ষকদের উপর হামলা করে। এই সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে উপাচার্য গতকাল রাত ১ টায় বাংলোতে মিটিং করেন। ঐ মিটিংয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আজকে তারা শিক্ষকদের উপর হামলা করে৷ এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি একই সন্ত্রাসী বাহিনী শিক্ষকদের উপর হামলা চালায় তারা। এছাড়াও আমরা যতবারই দাবি দিয়ে উপাচার্য স্যারের সাথে আলোচনা করতে গেছি ততবারই এই সন্ত্রাসী বাহিনী কার্যক্রম লক্ষ্য করছি। ঐদিনের হামলার পরও উপাচার্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আজকে আবারও শিক্ষকদের উপর হামলা করে তারা।
এদিকে শিক্ষকদের ৭ দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন করছিলেন শিক্ষক সমিতি৷ দাবি আদায় না হওয়ায় তাদের কর্মসূচি অনুযায়ী উপাচার্য, ট্রেজারার ও প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে কার্যালয়ে তালা দেয় শিক্ষক সমিতি।
পরবর্তীতে আজকে (২৮ এপ্রিল) উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কয়েকজন শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রার্থীদের প্রটোকলে কার্যালয়ে প্রবেশ করতে এলে কয়েকজন শিক্ষক বাঁধা দিলে শিক্ষকদের উপর হামলা করে বহিরাগত সাবেক শিক্ষার্থী এবং চাকরি প্রার্থীরা৷ এসময় উপাচার্য ড. মঈন মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানকে ধাক্কা দিয়ে প্রবেশ করেন ও কনুই দিয়ে আঘাত করেন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক মোর্শেদ রায়হানকে। এছাড়াও চাকরি প্রার্থী বিপ্লব চন্দ্র দাশ অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামিমুল ইসলামকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেয়৷
সাবেক শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রার্থীরা হলেন ইমরান হোসেন, অনুপম দাশ বাঁধন, রকিবুল ইসলাম রকি, মেহেদী হাসান, মুশফিকুর রহমান খান, ইমাম হোসেন মাসুম, আমিনুর রহমান বিশ্বাস, রেজা-ই-এলাহী, পার্থ সরকার, ইকবাল হোসেন খান, মাসুদ রানা, বাপ্পি, রাকিব হোসাইন, দ্বীপ চৌধুরী, আমরান হোসেন, ইমরুল কায়েস আবিরসহ আরও ১০/১৫ জন।
হামলার বিষয়ে উপাচার্য আবদুল মঈন বলেন, কে হামলা করেছে আমি তাদের চিনি না ।
বারবার শিক্ষকদের উপর বহিরাগতরা হামলা করার পরও কোনো ব্যবস্থা নিবেন কিনা এমন প্রশ্নে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী রানা বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। উপাচার্য স্যার সংবাদ সম্মেলনে এসব নিয়ে কথা বলেছেন।
বিআরইউ