ববি প্রতিনিধি
এপ্রিল ২৯, ২০২৪, ১১:২৭ এএম
ববি প্রতিনিধি
এপ্রিল ২৯, ২০২৪, ১১:২৭ এএম
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী গত ৩১ মার্চ থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ইস্টার সানডে, পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতরের (১৮ দিন) ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়।
এদিকে আগামী ১৫ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত (১৬ দিন) গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে আবার এর ঠিক ১০ দিনের ব্যবধানে ১১ জুন থেকে ২৫ জুন (১৫ দিন) পর্যন্ত ঈদুল আযহার ছুটি হওয়ার কথা।
তবে, এতো ঘন ঘন ছুটির ফলে ক্লাস ও পরীক্ষাসহ বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক ও গবেষণা কার্যক্রমে পিছিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সেশনজট বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডারের গ্রীষ্মকালীন ছুটি পিছিয়ে পবিত্র ঈদুল আযহার ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করা হোক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাসুম মাহমুদ জানান, একাধারে অর্ধমাসের ব্যবধানে দুইবার ছুটি ঘোষণা অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমের গতি শুধু কমিয়েই দিচ্ছে না মারাত্মক আকারে আমাদের অ্যাকাডেমিক জীবনকেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে, সেশনজটের বোঝা আর বহন করা সম্ভব হচ্ছে না, ছুটি নয় এখন পরীক্ষা মৌলিক চাহিদা হয়ে দাঁড়িয়েছে, এ বিষয়ে অবশ্যই উপাচার্য মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আরেক শিক্ষার্থী সোহরাব হোসেন সৌরভ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি ৬ বছর হল এখনো অনার্স শেষ করতে পারিনি। যার কারণে অনেক চাকরির আবেদন করতে পারিনি। এর কারণে বাড়ছে হতাশা। বিশ্ববিদ্যালয় এত ঘন ঘন বন্ধ হলে আমাদের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ও গবেষণা অনেক পিছিয়ে যায় ফলস্বরূপ সেই সেশনজটই থেকে যায়। এই সেশনজট নামক কারাগার থেকে আমরা মুক্তি চাই। তাই প্রশাসনের শিক্ষার্থী বান্ধব সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভুঁইয়া জানান, এ বিষয়ে আমরা আলোচনা করছি। খুব দ্রুতই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
ইএইচ