Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

বশেমুরবিপ্রবিতে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল নির্মাণে ধীরগতি

হৃদয় সরকার, বশেমুরবিপ্রবি

হৃদয় সরকার, বশেমুরবিপ্রবি

মে ৪, ২০২৪, ০৮:৩৮ পিএম


বশেমুরবিপ্রবিতে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল নির্মাণে ধীরগতি

গোপালগঞ্জ, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মভূমি। জন্মভূমিতে তারই নামে ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি)।

তবে তখন ছিলোনা কোনো ম্যুরাল কিংবা প্রতিকৃতি। অবশেষে ২০১৪ সালে ম্যুরাল নির্মাণের জন্য প্রকল্পের অনুমোদন হয়। প্রকল্প পাশ হওয়ার এক দশক চলমান হলেও বাস্তবে শতভাগ কাজের সমাপ্ত করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট দপ্তর। আদৌ কবে নাগাদ শেষ হবে! তা নিয়ে বেঁধেছে সংশয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে অনুমোদনপ্রাপ্ত বশেমুরবিপ্রবি অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পে ১৩টি টেন্ডারের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের জন্য বরাদ্দ ছিল ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এ সময় প্রকল্পগুলো শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে বাস্তবায়িত হয়েছিলো। ২৪০ বর্গমিটার জায়গায় ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে ম্যুরালটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার কথা ছিল। কিন্তু ২০১৭ সাল পর্যন্ত ম্যুরালটির কাজ শুরুই করেনি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। সেসময় কয়েক দফায় বশেমুরবিপ্রবি অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়।

পরবর্তীতে ২০১৮ সালে প্রকল্পটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা উন্নয়ন এবং ওয়ার্কস দপ্তরের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় পরিকল্পনা উন্নয়ন এবং ওয়ার্কস দপ্তর প্রকল্পটি প্রথম রিভাইজড করে। রিভাইজড বাজেটে ২৪০ বর্গমিটার স্থানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।

কিন্তু এর প্রাক্কলিত মূল্য ধরা হয়েছিলো ১৫কোটি ৮৫লক্ষ ৯১হাজার টাকা।

পরিকল্পনা দপ্তর জানায়, বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল নির্মাণ বাস্তবায়নে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ১৪ কোটি ২৭ লক্ষ ৩২ হাজার টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয়। চুক্তি অনুযায়ী, ম্যুরাল নির্মাণের কার্যাদেশ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখের মধ্যে কাজ সমাপ্ত করার কথা ছিল বলে জানা হয়। কিন্তু ম্যুরাল নির্মাণের কাজ সমাপ্তির তারিখ ১ বছর আগে শেষ হয়ে গিয়েছে। তথাপি বাস্তবে সমাপ্ত হয়নি ম্যুরাল নির্মাণ কাজ।

সরেজমিনে দেখা যায়, ২০২২-এর ডিসেম্বর পেরিয়ে ২০২৪ এর মে মাস শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু প্রকল্পটির শতভাগ কাজ সমাপ্ত করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

জানা যায়, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও এর শতভাগ বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছিলো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা, উন্নয়ন এবং ওয়ার্কস দপ্তর ও প্রকৌশল দপ্তর। ফলে সরকার থেকে টাকা পাওয়া যায়নি। তাই যথাসময়ে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে পারেনি তারা।

২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে এক সাক্ষাৎকারে পরিকল্পনা দপ্তর জানায়, আমরা আশা করি ২০২৪ সালের ১৭ মার্চের মধ্যে ম্যুরাল নির্মাণের কাজ শেষ করতে পারব। কিন্তু ‍‍`মার্চ‍‍` পেরিয়ে ‍‍`মে‍‍` চলে এসেছে। তারপরেও কাজের শতভাগ সমাপ্ত করতে পারছে না পরিকল্পনা দপ্তর।

ম্যুরাল নির্মাণ কাজ কবে নাগাদ শেষ হতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তর জানায়, আমরা মেইন স্ট্যাকচারের কাজ সমাপ্ত করে ফেলেছি। এখন শুধু অর্নামেন্টাল কাজগুলো বাকি আছে। অর্নামেন্টাল কাজগুলো করতে ২/৩/৪ মাস সময় লাগতে পারে। যদি ঠিকাদার ঠিকভাবে কাজ করে থাকে তাহলে আশা করছি আগস্ট মাসের মধ্যে আমরা ম্যুরালটি উদ্বোধন করতে পারব।

ইএইচ
 

Link copied!