Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪,

পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে কঠোর আন্দোলনে যাচ্ছেন শিক্ষকরা

ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাবি প্রতিনিধি

জুন ৪, ২০২৪, ০৬:১০ পিএম


পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে কঠোর আন্দোলনে যাচ্ছেন শিক্ষকরা

আগামী ২৪ জুনের মধ্যে ‘প্রত্যয় স্কিম’ সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।

মঙ্গলবার দুপুর ১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলাভবন ফটকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়া এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, ঢাবির শিক্ষক ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আব্দুর রহিম, শিক্ষক সমিতির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া, ঢাবির সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান ,যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান খান প্রমুখ।

ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ২৫, ২৬ ও ২৭ জুন অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন শিক্ষকরা। এছাড়াও, ৩০ জুন শিক্ষকরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন। তবে পরীক্ষা কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে। এরপরও দাবি আদায় না হলে আগামী ১ জুলাই থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালিত হবে বলে জানান সংগঠনটির নেতারা।

ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম এবং মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া এক লিখিত বক্তব্যে বলেন, ১৩ প্রজ্ঞাপন জারি করার পর থেকে শিক্ষকরা অদ্যাবধি নিয়মতান্ত্রিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। শিক্ষার্থীদের ক্লাস, পরীক্ষা কোনোভাবেই যেন বিঘ্নিত না হয়, সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অনেকটা প্রতীকী কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে এ বিষয়ে সরকারের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণের সব ধরনের চেষ্টা করা হয়েছে। বিবৃতি প্রদান, গণস্বাক্ষর সংগ্রহ, মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদান এবং অবস্থান কর্মসূচির মত শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হলেও এখনও পর্যন্ত সরকারের তরফ থেকে কোনো ধরনের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।শিক্ষকদের সাথে দায়িত্বশীল কোনো পক্ষ যোগাযোগও করেননি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, পহেলা জুলাই থেকে এদেশের কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালকে ক্লাস হবে না। চেয়রম্যানরা সকল বিভাগ বন্ধ করে দিবেন। কোন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। হলের হাউজ টিউটররা আর কোন হলে যাবে না। কোন ইনস্টিটিউটের পরিচালক আর ইনিস্টিটিউটে যাবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, গবেষণা, ওয়ার্কশপ তারা করবেন না। নতুন কোন কর্মসূচি শিক্ষকরা গ্রহণ করবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরিও বন্ধ থাকবে। কারণ, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পরিচালকও একজন শিক্ষক। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব গবেষণাগার বন্ধ হয়ে যাবে পহেলা জুলাই থেকে। পহেলা জুলাই থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অ্যাকাডেমিক এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ করা হবে। এটাই সর্বোত্মক আন্দোলনের রূপরেখা।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২০ মে সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন’ প্রত্যাহার এবং পূর্বের পেনশন স্কিম চালু রাখার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। এসময় দাবি আদায় না হলে ধাপে ধাপে বিভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণা করেন নেতারা।

ইএইচ

Link copied!