Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

ইবির প্রধান প্রকৌশলীসহ ৮ জনকে দুদকে তলব

ইবি প্রতিনিধি:

ইবি প্রতিনিধি:

জুন ২৬, ২০২৪, ০৫:০২ পিএম


ইবির প্রধান প্রকৌশলীসহ ৮ জনকে দুদকে তলব

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের দ্বিতীয় প্রশাসন ভবনে সর্বশেষ চলতি বিলে ভুয়া বিল দিয়ে ৬ কোটি ২৫ লাখ ২০ হাজার টাকা উত্তোলনের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলীসহ আটজনকে ডেকেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের কুষ্টিয়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত সাম্প্রতিক এক চিঠি থেকে বিষয়টি জানা গেছে।

আট প্রকৌশলীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম শরীফ উদ্দীন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুল ও ফরিদ উদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী বাদশা মামুনুর রশিদ ও মোহা, নুর আলম, উপসহকারী প্রকৌশলী প্রসেনজিৎ কুমার বিশ্বাস, রাজিব হোসাইন ও সোহাগ ইসলাম সাগর।

এর মধ্যে আগামী রবিবার (৩০ জুন) নির্বাহী প্রকৌশলী বাদশা মামুনুর রশিদ ও মোহা, নুরআলম, উপসহকারী প্রকৌশলী প্রসেনজিৎ কুমার বিশ্বাস, রাজিব হোসাইন ও সোহাগ ইসলাম সাগরের বক্তব্য গ্রহণ করা হবে।

পরদিন সোমবার ১ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম শরীফ উদ্দীন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুল ও ফরিদ উদ্দিনের বক্তব্য গ্রহণ করা হবে দুদক কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ে।

আট প্রকৌশলীর নাম উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর দুদকের কর্মকর্তা সাইদুর রহমান স্বাক্ষরিত ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণে বলা হয়েছে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের দ্বিতীয় প্রশাসন ভবনে সর্বশেষ চলতি বিলে ভুয়া বিল দিয়ে ৬ কোটি ২৫ লাখ ২০ হাজার টাকা উত্তোলন ও ভাগ বাটোয়ারা করে আত্মসাৎ করা হয়।

চিঠিতে বলা হয়, অনুসন্ধানের স্বার্থে আট প্রকৌশলীর বক্তব্য গ্রহণ করা প্রয়োজন। প্রকৌশলীদের নির্দিষ্ট তারিখে দুর্নীতি দমন কমিশন, কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অবকাঠামোগত উন্নয়নে ৫৩৭ কোটি টাকা মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে। এই প্রকল্প থেকে সোয়া ৬ কোটি টাকার ভুয়া বিল উত্তোলন ও ভাগবাটোয়ারার অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলী, প্রকল্প পরিচালক, ঠিকাদারসহ একাধিক কর্মকর্তা ও কয়েকজন সাবেক-বর্তমান ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে এ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়।

বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এদিকে বিষয়টি নিয়ে গঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটিও অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে বলে গেছে।

বিআরইউ

Link copied!