Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ০৫ অক্টোবর, ২০২৪,

বৃষ্টি উপেক্ষা করে কোটা বৈষম্যের বিরুদ্ধে ইবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ইবি প্রতিনিধি:

ইবি প্রতিনিধি:

জুলাই ৬, ২০২৪, ০৫:০২ পিএম


বৃষ্টি উপেক্ষা করে কোটা বৈষম্যের বিরুদ্ধে ইবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ঝুম বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রায় ৪৫ মিনিটের মতো মহাসড়ক অবরুদ্ধ রেখে শিক্ষার্থীদের গলার কাঁটা ‘কোটা বৈষম্যের’ বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ অবস্থায় দেখা যায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)’র প্রায় কয়েকশো শিক্ষার্থীকে।

দেশে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারি চাকুরিতে বিদ্যমান মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের প্রতি ৩০ ভাগ কোটা একপ্রকার বৈষম্য দাবি করে মেধাবীদের বাঁচাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে এর সংস্কারের দাবি উত্থাপিত করে দ্বিতীয় বারের মতো কুষ্টিয়া খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে কোটা বৈষম্যের বিরুদ্ধে থাকা এসব শিক্ষার্থী।

শনিবার (০৬ জুলাই) নির্ধারিত কর্মসূচির শুরুতে ক্যাম্পাসের বটতলা প্রাঙ্গণে বেলা ১১টায় জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা। সেখানে এক পশলা স্লোগান শেষে পদযাত্রা নিয়ে ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী শেখপাড়া ঘুরে মহাসড়কে বসে পড়েন তারা। এসময় প্রথমবারের মতো এই আন্দোলনে নারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ দেখা যায়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কোটা বৈষম্যের সংস্কার, ২০১৮ এর পরিপত্র বহাল ও মেধা ভিত্তিক নিয়োগ এর জোড়ালো দাবি করা হয়। এসময় তারা ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই। কোটা না মেধা, মেধা মেধা। আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার। জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে। লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে। আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’ এসব স্লোগানে প্রকম্পিত হয় মহাসড়ক প্রাঙ্গণ।

৪৫ মিনিটের অবরুদ্ধ সড়কের দুপাশে দেখা দেয় তীব্র যানজট। তবে এসময়ে অ্যাম্বুলেন্স অবরোধের আওতামুক্ত রাখেন আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীরা।

এসময় নারী হয়েও নারী কোটা না চাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের আইরিন সুলতানা বলেন, আমরা নারী হয়েও আমরা নারী হয়েও নারী কোটা চাচ্ছি না। তাহলে সেই ৫৩ বছর আগের মুক্তিযুদ্ধ করা মুক্তিযোদ্ধাদের নাতী-নাতনীরা কেনো কোটার সুবিধা ভোগ করবে?

অন্য এক শিক্ষার্থী বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান আমরা কখনো অস্বীকার করছি না। তবে কোটার ব্যবহারের ফলে একটা গোষ্ঠী শিক্ষা চাকরি এবং সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে আমরা যে সাধারণ শিক্ষার্থী আছি তারা পিছিয়ে যাচ্ছি। এটা এক প্রকার বৈষম্য।

কোটা বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং ছাত্র ইউনিয়ন ইবি শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুইট বলেন, ‘আমাদের এই বৈষম্যবিরোধী সংগ্রাম একদিনের নয়। এই সংগ্রাম ১৯৫২ সাল থেকেই চলমান রয়েছে’।

তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয় না মুক্তিযোদ্ধারা এই কোটা বৈষম্য টিকিয়ে রাখার জন্য সংগ্রাম করেছেন। তাঁরা দেশে সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্যই মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। আমরা কোটা বাতিলের পক্ষে না আমরা কোটা সংস্কারের পক্ষে।

বিআরইউ

Link copied!