Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৪,

শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে স্থবির নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়:

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়:

জুলাই ৭, ২০২৪, ০৫:০৩ পিএম


শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে স্থবির নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

সর্বজনীন পেনশন প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি না আদায় হওয়া পর্যন্ত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ডাকা সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে স্থবির হয়ে পড়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ও দাপ্তরিক কার্যক্রম।

একদিকে রোববার ৭ জুলাই সকালে পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষক লাউঞ্জ ‘মুখবন্ধে’ সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এসময় শিক্ষক সমিতির সভাপতি  অধ্যাপক ড. তুষার কান্তি সাহার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ড. মো. শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় শিক্ষক নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে প্রত্যয় স্কিমের কুফল তুলে ধরে দ্রুতই প্রজ্ঞাপনটি প্রত্যাহারের দাবি জানান।

এছাড়াও ‍‍‘প্রত্যয় স্কিম‍‍’ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের কার্যকর কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ১ জুলাই থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় শিক্ষকদের সংগঠনটি।

অন্যদিকে একইদিন সকালে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের আহ্বানে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা পরিষদ, কর্মচারী সমিতি (গ্রেড ১১-১৬) ও কর্মচারী ইউনিয়নের (গ্রেড ১৭-২০) সমন্বয়ে গঠিত কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ টানা পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতি, অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ র‍্যালি করেছে।

অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি মো. মোকাররেম হোসেন মাসুম,  কর্মকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম খলিল, কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম,  কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুবকর সিদ্দিক, কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. রেজাউল করিম রানা, কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবর রহমানসহ অন্যান্যরা।

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। বক্তারা বলেন, অর্থমন্ত্রনালয়ের একটি কুচক্রীমহলের চক্রান্তের ফলে আজ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান সমূহ প্রত‍্যয় স্কিম এর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার লক্ষ্যে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান সমূহকে প্রত‍্যয় স্কিমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

প্রত‍্যয় স্কিমের তীব্র সমালোচনা করে বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বতর্মান প্রজ্ঞাপন বাতিল না করলে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফেডারেশনের নির্দেশনায় নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে এবং আরো বেগবান আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

বিআরইউ

Link copied!