হৃদয় সরকার, বশেমুরবিপ্রবি
জুলাই ৮, ২০২৪, ০১:৪২ পিএম
হৃদয় সরকার, বশেমুরবিপ্রবি
জুলাই ৮, ২০২৪, ০১:৪২ পিএম
সকালে জাতীয় পতাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি)।
এতে নেই কোনো জমকালো আয়োজন কিংবা উৎসবমুখর পরিবেশ। ফলে প্রতিবারের মতো এ বছরও নিরুৎসাহিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সোমবার পালন করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষ্যে সকাল ৯টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের যাত্রা শুরু হয়।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের সাধারণ টেবিল প্রশাসনিক ভবনের সামনে এনে এর উপর রাখা হয় কেক। তারপর ওই টেবিলেই সাড়ে ৯টায় কেকটি কেটে দিবসটি উদযাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুল আলম, রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সাদামাটা আয়োজন সম্পর্কে লোক প্রশাসন বিভাগ তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আসিফ বলেন, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় তাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জমকালো আয়োজন করে। অনেক ব্যান্ডের শিল্পী আসে। নানা রঙের ঝাড়বাতিতে আলোক সজ্জিত থাকে বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন আয়োজন দেখে নিজের লজ্জা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নিয়ে রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করা হয়েছে। এবছর আমরা সকালবেলা কেক কাটার মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করি।
বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে যেখানে জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশ থাকার কথা, কিন্তু সেখানে শুধুমাত্র কেক কেটেই কেন এই দিনটি উদযাপন করা হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান আন্দোলনকে দায়ি করেন রেজিস্ট্রার। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। সেজন্য আমরা জাঁকজমকপূর্ণভাবে কিছু করতে পারিনি। যতটুকু সম্ভব হয়েছে ততটুকুই করেছি।
ইএইচ