বশেমুরবিপ্রবি সংবাদদাতা:
জুলাই ৯, ২০২৪, ০২:৩১ পিএম
বশেমুরবিপ্রবি সংবাদদাতা:
জুলাই ৯, ২০২৪, ০২:৩১ পিএম
একদিকে শিক্ষকদের প্রত্যয় স্কিমের অন্তর্ভুক্তি থেকে বাতিল, স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন এবং সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তির আন্দোলন। অন্যদিকে শুরু হয়েছে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন। এই দুই আন্দোলনে স্থবির হয়ে পড়েছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি)।
শিক্ষক সমিতি জানান, তাদের দাবি পূরণ না হলে শ্রেণি কক্ষে ফিরবেনা তারা। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা জানান, কোটা সংস্কার না হলে রাজপথ ছাড়া হবেনা। ফলে বন্ধ হয়ে আছে শ্রেণি কার্যক্রম। শুরু হচ্ছেনা পরীক্ষা।
গত ১ জুলাই থেকে তিন দফা দাবি নিয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।
বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতিও এই দাবির সাথে একমত পোষণ করে। এবং ওই দিন থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করে যাচ্ছে। দাবি পূরণ না হলে শ্রেণীকক্ষে ফিরবেনা শিক্ষক সমিতি।
গতকাল সোমবার(৮জুলাই) শিক্ষক সমিতির ষষ্ঠ দিনের কর্মবিরতির পর এমন ঘোষণা দেন বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফায়েকুজ্জামান মিয়া।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদেরকে প্রত্যয় স্কিমে অন্তর্ভুক্তি থেকে বাতিল, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন এবং সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি, এই তিন দফা দাবি নিয়ে আমাদের কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আমাদের এই তিন দফা দাবি পূরণ না হলে শ্রেণি কক্ষে ফেরা হচ্ছেনা। আমরা যে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছি, সেটি কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একার না। এ সিদ্ধান্তটি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের।
শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি নিয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. বশির উদ্দিন বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের ক্ষতি চাই না। তবে দাবি পূরণ না হলে বর্তমান কর্মসূচি থেকে আরো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হতে পারে।
অপরদিকে, গত শুক্রবার (৫জুলাই) কোটা সংস্কার আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। প্রথম দিনে গোপালগঞ্জ-ঘোনাপাড়া সড়ক অবরোধ করে। এরপর গত ৮জুলাই থেকে সারা দেশের ন্যায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে ”বাংলা ব্লকেড” কর্মসূচি পালন করছে বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার, "রাষ্ট্র মেরামত চলছে, সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত "-এমন নোটিশ টানিয়ে পুনরায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, কোটা সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত তারা বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে। এদিকে বুধবার দেশের ৬৪ জেলায় কঠোর কর্মসূচির প্রস্তুতি চলছে। দেশব্যাপী ৬৫ সদস্যের সমন্বায়ক টিম গঠন করা হয়েছে।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের কারণে বন্ধ হয়ে আছে বশেমুরবিপ্রবির সকল কার্যক্রম। অনেক বিভাগের পরীক্ষা চলমান ছিল। কোনো কোনো বিভাগে পরীক্ষা শুরু হওয়ার রুটিন দেওয়া হয়েছে। কারো কারো পরীক্ষা শেষ কিন্তু আন্দোলনের জন্য ভাইভা দিতে পারছেনা। এমন নানাবিধ সমস্যায় জর্জড়িত শিক্ষার্থীরা। কবে নাগাদ এই আন্দোলন শেষ হবে! সেটি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে তারা। এতে করে সেশনজটের কবলে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানা যায়।
বিআরইউ