ইবি প্রতিনিধি
অক্টোবর ৭, ২০২৪, ০৭:৪৩ পিএম
ইবি প্রতিনিধি
অক্টোবর ৭, ২০২৪, ০৭:৪৩ পিএম
শিক্ষকের বিরুদ্ধে পাহাড়সম অভিযোগ নিয়ে পদত্যাগের দাবীতে আন্দোলন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা। অভিযুক্ত শিক্ষক ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলাম।
সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনে শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেইন গেটের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
এসময় শিক্ষার্থীরা দফা এক দাবী এক দাবী, হাফিজের পদত্যাগ; হাফিজের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে; স্বৈরাচারের দোসর, হাফিজ হাফিজ; হাফিজকে হটাও, ডিএস বাঁচাও; হাফিজের ঠিকানা, ডিএস এ হবে না ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
লামিয়া নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, স্যার ক্লাসে এসে কি বা কি বলে অপমান করবে সেই ভয়ে দিন কাটাতে হয়েছে। আমি কি ড্রেস পড়লাম, কোথায় গেলাম, কার সাথে ঘুরলাম, কোন বাসে ঢাকা গেলাম সেসব কৈফিয়ত দিতে হয় আমাকে। আমাকে সবার সামনে বলেছে যে আমাকে ফ্যানে ঝুলিয়ে পেটাবে। যে স্যারের গুণগান গায় সে ইন্টার্নাল মার্কে পায় ২৭, আমি পাই ১৭। আমি বৃষ্টিতে ভিজে চা খাইলে সে বলে আমি নাকি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেছি৷ সে একজন শিক্ষক হয়ে সে সবার সামনে মেয়েদের গালি দেয়। আমি হাফিজের পদত্যাগ চাই, সে শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা রাখে না।
অপর শিক্ষার্থী অনন্যা রহমান বলেন, বাপ মা তুলে গালি দেওয়া স্যারের আগের অভ্যাস। যারা নাচ করি তাদের নর্তকী, বাকিদের বাজারের মেয়ে এগুলো বলেছে। আমাদের সামনে আমাদের ফ্রেন্ডদের বলেছে এসব কাস্টমার ধরার ধান্দা৷ আমি আবার বন্ধুর সাথে কোথায় বসব না বসব, সেসব নিয়ে সে কুরুচিপূর্ণ কথা শুনিয়েছেন। সে আমাকে হেনস্তা করার জন্য ১০০ পেজের এসাইনমেন্ট করিয়েছে অথচ জমা নেয়নি। তার জঘন্য অপমানের ভাষা বলে শেষ হবে না।
পরবর্তীতে আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দেন। সেখানে প্রক্টরিয়াল টিমের মাধ্যমে পরে উপাচার্যের সাথে তারা একটি মিটিং করে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবীগুলো উপাচার্যকে জানায়। প্রশাসন ভবনের কনফারেন্স রুমে শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়া শুনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থীদের সকল অভিযোগ আমরা শুনেছি, এবিষয়ে খুব দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন করে কমিটির মাধ্যমে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরএস