Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৪,

পাবি‌প্রবির ছাত্রীর সাথে অনৈতিক সর্ম্পক, শিক্ষককে অব্যাহতি

পাবনা জেলা প্রতিনিধি:

পাবনা জেলা প্রতিনিধি:

অক্টোবর ৯, ২০২৪, ০৫:২৪ পিএম


পাবি‌প্রবির ছাত্রীর সাথে অনৈতিক সর্ম্পক, শিক্ষককে অব্যাহতি

ছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষকের অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে । পাবি‌প্রবির ছাত্রীর লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষককে।পাবি‌প্রবির পড়ুয়া ছাত্রী মুসলিম এবং শিক্ষক সুব্রত কুমার বিশ্বাস অবিবাহিত হলেও সনাতন ধর্মের হওয়ায় আলোচনার ঝড় চলছে বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে ।

অভিযুক্ত শিক্ষক সুব্রত কুমার বিশ্বাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও পাবনার ঈশ্বরদী পৌর শহরের পোস্ট অফিস এলাকার বাসিন্দা এবং ভুক্তভোগী ছাত্রী একই বিভাগের মাস্টার্সের ইভিনিং ব্যাচের শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর ধরে ওই ছাত্রীর সুব্রত কুমার বিশ্বাসের সঙ্গে‌ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ।একপর্যায়ে সুব্রত কুমার বিশ্বাস  বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্কে গড়ে তোলেন।

কিন্তু শিক্ষক সুব্রত কুমার বিশ্বাস   পরবর্তীতে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে বিয়ের দাবিতে বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দেন ছাত্রী। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে সমালোচনা শুরু হয়।

বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান খাদিজাতুল কুবরা   নিশ্চিত করে বলেন,আমরা অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। এজন্য ক্লাস-পরীক্ষাসহ অ্যাকাডেমিক সকল কার্যক্রম থেকে ওই শিক্ষক সুব্রত কুমার বিশ্বাস   অব্যাহতি দিয়েছি এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আমার বিভাগের পক্ষ থেকে উপাচার্য স্যার বরাবর একটি তদন্ত রিপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দিয়েছি।

নাম  না প্রকাশে  অনিচ্ছুক কয়েকজন  শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানান, বিষয়টি আসলে লজ্জাজনক। এমন শিক্ষককে ক্লাসে দেখলে বিব্রত লাগে।‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় শিক্ষককে নিয়ে যদি নৈতিকতার প্রশ্ন ওঠে তাহলে খুবই আত্মসম্মানে লাগে।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও অভিযুক্ত শিক্ষক সুব্রত কুমার বিশ্বাসের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তার হোয়াটসঅ্যাপে নক দিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য ড. এস এম আবদুল আওয়াল বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। ওই বিভাগের পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয়েছে। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌননিপীড়ন বিরোধী একটি পূর্ণাঙ্গ সেল রয়েছে। আমি তাদেরকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলেছি, যদি সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই এটার উপযুক্ত বিচার হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি নতুন, বিশ্ববিদ্যালয়কে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো করে গড়ে তুলবো।

বিআরইউ

Link copied!