নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
অক্টোবর ১৭, ২০২৪, ০৭:৩৪ পিএম
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
অক্টোবর ১৭, ২০২৪, ০৭:৩৪ পিএম
দুর্নীতির অভিযোগে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখরের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সংস্থাটির পক্ষ থেকে এ আবেদন করা হয়।
সাবেক এই উপাচার্যের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ভর্তি বাণিজ্য ও নানা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
দুদক জানায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত প্রয়োজন।
তবে গুঞ্জন উঠেছে, পরিস্থিতি আঁচ করে দুদকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদনের আগেই দেশত্যাগ করে আগেই সটকে পড়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে সৌমিত্র শেখরের বক্তব্য জানতে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করে এবং কল করার কারণ জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
এর আগে সাবেক এই উপাচার্যের বিরুদ্ধে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পদের মালিক, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় ভর্তি–বাণিজ্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের অনুসন্ধানে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি।
এছাড়া সৌমিত্র শেখরের বিরুদ্ধে এক ঠিকাদারের সোনালী ব্যাংকের আমানত রূপালী ব্যাংকে স্থানান্তরে প্রতি কোটিতে ৫০ হাজার টাকা করে কমিশন আদায়, গাড়ির জ্বালানির জন্য বরাদ্দ দেওয়া সরকারি তহবিল আত্মসাৎ এবং অবৈধ অর্থে শেরপুরে জমি কিনে ডুপ্লেক্স বাড়ি তৈরি করার অভিযোগ পেয়েছে দুদক। তার বিরুদ্ধে ঢাকার ধানমন্ডি ও উত্তরায় একাধিক ফ্ল্যাটের মালিকানা এবং শেরপুরে সম্পত্তির প্রমাণও পেয়েছে দুদক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ উপাচার্য হিসেবে চার বছরের জন্য নিয়োগ পান। কিন্তু শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে আড়াই বছরের মাথায় পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি।
ইএইচ