Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪,

ছাত্র আন্দোলনের বিরোধীতাকারী অংশ নেওয়ায় পরীক্ষা বয়কট সহপাঠীদের

চবি প্রতিনিধি

চবি প্রতিনিধি

অক্টোবর ২০, ২০২৪, ০৫:৩৯ পিএম


ছাত্র আন্দোলনের বিরোধীতাকারী অংশ নেওয়ায় পরীক্ষা বয়কট সহপাঠীদের

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেওয়ায় পরীক্ষা বয়কট করেছে তার সহপাঠীরা।

ভুক্তভোগী ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদাউস মুন্নী।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, আজ বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষায় ১ম দিনের মতো শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে গেলে জান্নাতুল ফেরদাউস মুন্নীকে দেখে পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে যায় শিক্ষার্থীরা।

এরপর, মুন্নী যাতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারে সেজন্য প্রক্টর অফিসে লিখিত বক্তব্য দেন তারা। এছাড়া, মুন্নী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের বাংলা বিভাগের কোন শিক্ষার্থী সমাগত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে না বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে অনলাইনে বিভিন্ন নেতিবাচক পোস্ট-কমেন্ট করেছিল মুন্নী। তাই, আন্দোলনের সময়ে তাকে বিভাগ থেকে বয়কট করেছিল শিক্ষার্থীরা। আজ ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ওই বিভাগের  ফাইনাল পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মুন্নী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করায় অন্যান্য শিক্ষার্থীরা হল থেকে বের হয়ে পরীক্ষা না দেওয়ার ঘোষণা দেয়।

শিক্ষার্থীরা আরও জানায়, ঐ বিভাগে মুন্নীর মতো আরো কয়েকজন আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিলেও পরে তারা ক্ষমা চাইলে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়ে যায়। কিন্তু মুন্নী ক্ষমা চেয়ে অনুতপ্ত না হয়ে বরং ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছে।

বাংলা বিভাগের ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের আশিক বলেন, কোটা সংস্কার থেকে ফ্যাসিস্ট পতনের জন্য যখন আমরা আন্দোলন করছিলাম, তখন আমাদের সহপাঠী মুন্নী আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় এবং গণহত্যাকে সমর্থন জানায়। আন্দোলনের সময় তাকে বিভাগ থেকে বয়কট করেছিলাম। কিন্তু সে এখনও ক্ষমা না চেয়ে উদ্ধতপূর্ণ আচরণ করছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সে পরীক্ষা দিলে আমরা দিবো না। সে পরীক্ষা দিতে আসায় আমরা আজ প্রথম পরীক্ষা বয়কট করছি।

বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. তাসলিমা বেগম বলেন, মুন্নী পরীক্ষা দিতে আসায় অন্যরা পরীক্ষা দেয়নি। তারা প্রক্টর অফিসে এ সম্পর্কে একটা লিখিত বক্তব্য পাঠিয়েছে। আমরা আগামী পরশুদিন এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবো।

তবে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী জান্নাতুল ফেরদাউস মুন্নী‍‍`র ব্যবহৃত নাম্বারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

ইএইচ

Link copied!