Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪,

মির্জা গালিব

শিক্ষাখাতে ন্যূনতম জিডিপি’র ৫% বরাদ্দের ব্যবস্থা করতে হবে

জবি প্রতিনিধি

জবি প্রতিনিধি

ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪, ০৬:১৩ পিএম


শিক্ষাখাতে ন্যূনতম জিডিপি’র ৫% বরাদ্দের ব্যবস্থা করতে হবে

হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মির্জা গালিব বলেন, “বর্তমান বিশ্বে সবকিছুই অনেক চ্যালেঞ্জিং, টেকনোলজি দ্রুত পরিবর্তনশীল, গ্লোবালি প্রতিযোগিতা অনেক বেশি। যেসকল দেশ সায়েন্স ও টেকনোলজিতে এগিয়ে তারাই অর্থনৈতিকভাবে ততো প্রসারিত। আমাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ গবেষক তৈরি করতে হবে সাথে সাথে টেকনোলজিও উন্নত করতে হবে। শিক্ষাখাতে বাজেটের বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে এবং ন্যূনতম জিডিপি’র ৫% বরাদ্দের ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষায় ফান্ডিং না বাড়াতে পারলে উন্নত বিশ্বের সাথে আমরা অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়বো।”

আজ বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ইনডিসিপ্লিনারি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কনসোর্টিয়াম (আইআরডিসি) কর্তৃক আয়োজিত “সায়েন্স, টেকনোলজি এন্ড ইনোভেশন: পেভিং বাংলাদেশ’স ফিউচার ইন এ কম্পেটিটিভ ওয়ার্ল্ড” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বিলাল হোসাইনের সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন, রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ সালেহ আহম্মদ, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু লায়েক।

মির্জা গালিব এ সময়ে আধুনিক প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনী সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় অগ্রণী ভূমিকা রাখার উপায় নিয়ে গভীর বিশ্লেষণমূলক আলোচনা করেন। বিশেষ করে তরুণ গবেষকদের উদ্ভাবনী চেতনা বিকাশে এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ রইছ উদ্‌দীন বলেন, “প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে বাংলাদেশকে টিকিয়ে রাখতে বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তিতে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। দল মতের ঊর্ধ্বে মেধাবীদের মূল্যায়ন করতে হবে। এতো বছর বিজ্ঞান প্রযুক্তি উদ্ভাবনের আড়ালে লুটপাট হয়েছে একারনে আমাদের নৈতিক মানদণ্ডে বলিয়ান হতে হবে, এর শিক্ষা ইসলাম আমাদেরকে দিয়েছে।”

রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. জে. সালেহ আহমেদ বলেন, “এতো বছর কত টেকনোলজি উদ্ভাবন হলো কিন্তু এতে আমাদের কোনো অবদান নাই। শুধু উন্নয়নের জোয়ারে ভাসলে হবে না, এসকল উন্নয়ন আমাদের নিজস্ব টেকনোলজি দ্বারা তৈরি হলে আমরা আরো উৎফুল্ল হতে পারতাম।”

সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু লায়েক বলেন, “জনসংখ্যাকে মানব সম্পদে রূপান্তর করার মূল উপায় হচ্ছে শিক্ষা। আমাদেরকে একাডেমিক ইন্ডাস্ট্রি কোলাবোরেশনের গুরুত্ব দিতে হবে, এর মাধ্যমে আমরা গবেষণালব্ধ ফলাফলকে বাস্তবে রূপ দিতে পারবো।”

বিআরইউ

Link copied!