বাকৃবি প্রতিনিধি
জানুয়ারি ১৯, ২০২৫, ০৩:২০ পিএম
বাকৃবি প্রতিনিধি
জানুয়ারি ১৯, ২০২৫, ০৩:২০ পিএম
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কমপ্লেক্সে ময়মনসিংহ বিভাগের জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এ উপলক্ষ্যে একটি সেমিনার আয়োজন করা হয়।
সেমিনারের পর শিক্ষক কমপ্লেক্স সংলগ্ন এলাকায় নিম গাছ রোপণ করা হয়। আয়োজকরা জানান, এই গাছ রোপণের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের স্মৃতিকে অমলিন রাখার প্রতীকী প্রচেষ্টা করা হয়েছে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভুঁইয়া। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. হেলাল উদ্দীন, কোষাধ্যক্ষ (চলতি দায়িত্ব) ড. মো. হুমায়ুন কবীর, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম সরদার এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান সরকার। সেমিনারে শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা অংশ নেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনই হচ্ছে সবচেয়ে বড় সংস্কার। এটি টেকসই হতে হবে এবং একমাত্র নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হতে হবে। বিএনপি একটি সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গড়তে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের নেতা তারেক রহমান রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা দিয়েছেন, যা একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে বাস্তবায়ন সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশ এখন সংকটময় মুহূর্ত পার করছে। এ অবস্থায় সতর্কতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে। অতি দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই এ সংকট সমাধানের একমাত্র পথ। বিএনপি এখনো ক্ষমতায় আসেনি। আমরা এখনো বিরোধীদলে রয়েছি। আগামী নির্বাচনে জনগণ আমাদের প্রতি আস্থা রাখলে এবং ভোট দিলে আমরা অবশ্যই ক্ষমতায় আসব। তবে, এ পথ অত্যন্ত জটিল ও কঠিন। বর্তমান সময়ে বিএনপির ওপর নানা চাপ প্রয়োগের অপচেষ্টা চলছে। বিভিন্ন দোষারোপের মাধ্যমে আমাদের নীতিনিষ্ঠ অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র চলছে। তবে বিএনপি একটি গণমুখী রাজনৈতিক দল, যেখানে ভালো-মন্দ উভয় দিক থাকতে পারে।
অনুষ্ঠানে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক বলেন, বাকৃবি একসময় আওয়ামী লীগের দুঃশাসন এবং ছাত্রলীগের প্রভাবশালী গোষ্ঠীর কেন্দ্রস্থল ছিল। আমরা যখন এই ক্যাম্পাসে এসেছিলাম, তখন হলগুলোতে টিকে থাকতে বড় ভাইদের দারস্থ হতে হতো। ২০০৫ সালের পর থেকে আমরা আওয়ামী লীগ সরকারের ফ্যাসিবাদী শাসন প্রত্যক্ষ করেছি। বিগত ১৭ বছরে রাজনীতি যে কতটা কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং পেশা হতে পারে, তা আমরা খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করেছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে অনুধাবন করি, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ এবং চেতনা আমার রক্তের প্রতিটি কণায় প্রবাহিত। তার নীতি ও নেতৃত্ব আমাকে সবসময় অনুপ্রাণিত করে।
তিনি আরও বলেন, সংগঠনের কঠিন সময়ে যারা নিষ্ক্রিয় হয়ে যান, তাদের শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জীবনী পাঠ করা উচিত। তার সংগ্রামী জীবন থেকে তারা নতুনভাবে অনুপ্রেরণা ও দিকনির্দেশনা পাবে।
বিআরইউ