আমার সংবাদ ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫, ০৬:২৬ পিএম
আমার সংবাদ ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫, ০৬:২৬ পিএম
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকবে, রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার সম্পৃক্ততা পেলে আজীবন বহিষ্কার ও ছাত্রত্ব বাতিল করা হবে। পাশাপাশি শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও কোনো ধরনের রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রমে যুক্ত থাকতে পারবেন না বলে সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৯৮তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এম এম এ হাসেমকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ—উপাচার্য অধ্যাপক শেখ শরীফুল আলম এসব নিশ্চিত করেছেন।
সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত
মঙ্গলবারের ঘটনায় জড়িত বহিরাগতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। আর জড়িত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করবে। আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয় বহন করবে। ক্যাম্পাস এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
এদিকে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিকাল সোয়া ৪টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে জানান, আমরা ভিসি, প্রো—ভিসিকে বর্জন করলাম। তারা শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত করেননি। আমরাই বর্জন করলাম। আমরা হল ত্যাগ করব না। হলেই থাকব।
তারা বলেন, কুয়েট এখন অভিভাবক শূন্য। প্রধান উপদেষ্টাসহ সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, কুয়েট নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নেই। সকলে আমাদের সহযোগিতা করুন। আমরা ক্লাসে ফিরতে চাই। কাল নতুন ভিসি নিয়োগ হলে কালই ক্লাসে ফিরব।
তারা আরো বলেন, ভিসি ও প্রো ভিসি অবরুদ্ধ নয়। আমরা তাদের বর্জন করেছি। তারা চাইলে চলে যেতে পারেন।
আরএস