Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ০৩ মার্চ, ২০২৫,

পরীক্ষা দিতে এসে ইবি ছাত্রলীগের ২ নেতা আটক

ইবি প্রতিনিধি:

ইবি প্রতিনিধি:

মার্চ ২, ২০২৫, ০৪:৩১ পিএম


পরীক্ষা দিতে এসে ইবি ছাত্রলীগের ২ নেতা আটক

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) পরীক্ষা দিতে এসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের দুই নেতা-কর্মী।

রবিবার (২ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনে পরীক্ষায় বসলে এ ঘটনা ঘটে। প্রক্টরিয়াল বডি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা তাকে উদ্ধার করে ইবি থানায় সোপর্দ করেন।

ছাত্রলীগ পদধারী নেতা সমাজকল্যাণ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম নাঈম। তিনি শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির উপ-আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক পদে আছেন। প্রকাশ্যে জুলাইয়ের আন্দোলনের বিরোধিতা ও শিক্ষার্থীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অন্যদিকে একই বিভাগের সহপাঠী মারুফ আহমেদকে ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে আটক করা হয়। মারুফ আবাসিক হলে থাকাকালীন গণরুমে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

জানা যায়, সকাল সাড়ে ১১ টায় সমাজ কল্যাণ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের চতুর্থ বর্ষে প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষা শুরু হয়। ছাত্রলীগ নেতা নাঈম ও সহপাঠী মারুফ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পরে তাদের ক্যাম্পাসে আসার খোঁজ পেয়ে শিক্ষার্থীরা ভবনের ২য় তলায় পরীক্ষার হলের সামনে জড়ো হয়। পরে প্রক্টরিয়াল বডি ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়করা তাকে পরীক্ষার হল থেকে বের করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে।

এক পর্যায়ে বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক শ্যাম সুন্দর সরকার অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের খাতা জমা নেন এবং খাতার উত্তরপত্র কেটে দেন। এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাকে অতর্কিতভাবে কিছু কিল-ঘুষি ও চড়-থাপ্পড় দেয়। পরে তাকে প্রক্টরিয়াল বডি, ছাত্র উপদেষ্টা ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কদের সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িতে করে নিয়ে থানায় সোপর্দ করা হয়।

ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, আমরা জানতে পেরেছি যে তারা আবাসিক হলে থাকাকালীন শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করতো। পরীক্ষা দিতে আসলে ভুক্তভোগীরা তোপের মুখে ফেললে তাদেরকে প্রক্টরিয়াল বডির সহযোগিতায় থানায় সোপর্দ করি।

বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক আসমা সাদিয়া রুনা বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে অবস্থান সম্পর্কে আমরা অবগত ছিলাম না। বিষয়টি শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে জানার পর আমরা প্রক্টরিয়াল বডির সহযোগিতায় তাদেরকে থানায় হস্তান্তর করি। মামলার বিষয়ে প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পরীক্ষা দিতে আসলে বিভাগের সভাপতি আমাকে ফোন দিয়ে জানায়। তাৎক্ষণিক আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। আমি গিয়ে দেখি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, সাধারণ শিক্ষার্থী ও ভুক্তভোগীরা বিভাগের সামনে অবস্থান করে। পরে বিভাগের শিক্ষকের সহযোগিতায় থানায় নিয়ে আসা হয়।পরবর্তীতে ইবি থানা তাদের অতীত রেকর্ড খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন।

উল্লেখ্য, গত ২২ জানুয়ারি শান্তি শৃঙ্খলা ও ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠনের কার্যক্রমে গোপনে বা প্রকাশ্যে  সহযোগিতার সম্পৃক্ততা পেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কর্তৃপক্ষ।


বিআরইউ
 

Link copied!