ইবি প্রতিনিধি
মার্চ ১০, ২০২৫, ০৩:২৭ পিএম
ইবি প্রতিনিধি
মার্চ ১০, ২০২৫, ০৩:২৭ পিএম
দেশব্যাপী নারীদের ওপর সহিংসতা, নিপীড়ন, ধর্ষণ, অনলাইনে হয়রানি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও বিচারহীনতার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদল।
এ সময় নেতাকর্মীরা ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করা এবং অভিযুক্তদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। তারা হুঁশিয়ারি দেন, যদি সরকার এসব ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়, তবে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত।
সোমবার বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহমেদ।
উপস্থিত ছিলেন- সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুন, যুগ্ম আহ্বায়ক আনারুল ইসলাম, আহসান হাবিব, মনিরুল ইসলাম, সদস্য সাব্বির হোসেন, রাফিজ আহমেদ, নূর উদ্দিন, সৌরভ, উল্লাস, মুক্তাদির, সাক্ষরসহ শতাধিক নেতাকর্মী।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা হাতে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রতিবাদী লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড বহন করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল— "তনু, তানিয়া, নুসরাত, আছিয়া, তারপর কে?", "সারা বাংলায় খবর দে, ধর্ষকদের কবর দে", "My body, my right— Stop the violence, End the fight", "বোন, তোমার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই"।
নারী শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ
মানববন্ধনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে জান্নাতুল আফরিনা শাপলা নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, "আমরা দেশের সব ক্ষেত্রে পুরুষদের সঙ্গে সমানতালে কাজ করছি। তাহলে কেন আমাদের হয়রানির শিকার হতে হবে? কেন আমরা রাস্তায় নিরাপদ নই? আমাদের কি কেবল কবরেই নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে? আমরা নিরাপদ পরিবেশ চাই, ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। যদি ধর্ষকদের ফাঁসি কার্যকর করা না হয়, তাহলে সরকারের দায়িত্ব কী?"
ছাত্রদলের সদস্য রাফিজ আহমেদ বলেন, "বর্তমান সরকার সংস্কারের নামে অরাজকতা তৈরি করেছে। তারা ব্যর্থ। নারী জাতির সঙ্গে আমাদের মায়ের, বোনের, দাদির সম্পর্ক রয়েছে। তাই আমরা এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না।"
নূর উদ্দিন বলেন, "নারী ও শিশু নির্যাতন বাড়ছে, আর সরকার নীরব। ব্যাংক লুট, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব থেকে শুরু করে এমন কোনো অন্যায় নেই যা ঘটছে না। ছাত্রদল সবসময় নারীদের নিরাপত্তার প্রশ্নে মাঠে থাকবে।"
ছাত্রদল নেতাদের কঠোর হুঁশিয়ারি
ইবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহমেদ বলেন, "দেশজুড়ে ধর্ষণের ঘটনা যেভাবে বাড়ছে, তাতে মনে হয় দেশে কোনো সরকার নেই। প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এখনো ঘাপটি মেরে আছেন, তাদের চিহ্নিত করতে হবে। সরকার কেবল সময়ক্ষেপণ করছে, আর দেশে লুটপাট চলছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠান নয়, এখানে যার যার সংস্কৃতি চর্চার স্বাধীনতা থাকবে।"
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, "উনি কি দেশের বর্তমান অবস্থা দেখেন না? অপকর্ম রুখতে না পারলে সরকারের মতো তাকেও পালিয়ে যেতে হবে।"
এসময় তিনি সরকারকে ব্যর্থ আখ্যা দিয়ে দ্রুত পদত্যাগের দাবি জানান।
ইএইচ