রাবি প্রতিনিধি
মার্চ ১০, ২০২৫, ০৮:৪৬ পিএম
রাবি প্রতিনিধি
মার্চ ১০, ২০২৫, ০৮:৪৬ পিএম
মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ ৯ব্যক্তির বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী মিশু। তাঁর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. নাজবুল ইসলামের মাধ্যমে এ নোটিশ প্রেরণ করেন তিনি। আজ সোমবার (১০ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি দাবি করেছেন , গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি ও বারিন্দ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলেও কয়েকটি প্রথম সারির গণমাধ্যমের সাংবাদিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এছাড়া কয়েকজন ব্যক্তিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভ্রান্তিকর পোস্ট করেছেন। যা তাঁর সামাজিক সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে। বিষয়টা তাঁর জন্য মানহানিকর ও অত্যন্ত দুঃখজনক। যার ফলে আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে তাদের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে।
লিগ্যাল নোটিশ প্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন, ডিবিসি নিউজের প্রধান সম্পাদক ও নির্বাহী লোটন একরাম, ডিবিসির রাজশাহী ব্যুরো প্রধান সৌরভ হাবিব, মাছরাঙা টেলিভিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান সম্পাদক ও নির্বাহী (অজ্ঞাত), রাজশাহীর স্টাফ রিপোর্টার গোলাম রাব্বানী, মোহনা টেলিভিশনের রাজশাহী ব্যুরো প্রধান মেহেদী হাসান শ্যামল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক কাজী জাহিদ, রাজশাহী কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী আব্দুর রহিম, প্রিয়জন টিভির সম্পাদক ও প্রকাশক ডা. নাজিব ওয়াদুদ এবং প্রতিষ্ঠানটির ডিজিটাল প্রতিবেদক।
নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য ১৫ দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব না পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন মেশকাত চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীর বারিন্দ মেডিকেল কলেজে মেশকাত চৌধুরীসহ ৪জনকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে চাঁদাবাজির খবর রটলেও তাৎক্ষণিকভাবে মেশকাত এবং পরদিন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা আলাদা সংবাদ সম্মেলন করে। সংবাদ সম্মেলন দুটিতে উভয় পক্ষই তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেন। উভয় পক্ষই জানান সেখানে চাঁদাবাজির কোনো ঘটনা ঘটেনি। তারপরও দেশের কয়েকটি প্রথম সারির গণমাধ্যমে মেশকাত চৌধুরী এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের হেয় করার জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কয়েকজন সাংবাদিক ভিত্তিহীন ও মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে।
আরএস