Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫,

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভুয়া অভিজ্ঞতার সনদে পেশ ইমাম নিয়োগ

শওকত জাহান, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

শওকত জাহান, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

মার্চ ২০, ২০২৫, ০৬:৫৫ পিএম


নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভুয়া অভিজ্ঞতার সনদে পেশ ইমাম নিয়োগ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভুয়া অভিজ্ঞতার সনদে এবং নিয়োগের শর্তপূরণ ছাড়াই পেশ ইমাম পদে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

গত ১৭ মার্চ সোমবার আব্দুল হাকিমকে ওই পদে নিয়োগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

একইদিনে সিভিল সার্জনের প্রত্যয়ন ছাড়াই তিনি যোগদানপত্র জমা দেন।

জানা যায়, পেশ ইমাম পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্ত অনুযায়ী, বড় কোনো মসজিদে কমপক্ষে পাঁচ বছরের ইমামতির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তবে আব্দুল হাকিম ঢাকার আফতাব নগরের লেকভিউ অ্যাভিনিউতে অবস্থিত বায়তুল মামুর জামে মসজিদে খতিব হিসেবে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতার সনদ দেখিয়ে আবেদন করেন। সনদে ১ জানুয়ারি ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা উল্লেখ থাকলেও, অনুসন্ধানে জানা যায় যে মসজিদটি ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিতই হয়নি।

বায়তুল মামুর জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি আবু সুফিয়ান জানান, তিনি কোনো সনদে স্বাক্ষর করেননি। মসজিদটি ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় ২০১৯ সাল থেকে খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করা অসম্ভব। তিনি আরো জানান, আব্দুল হাকিম সেখানে আনুমানিক দুই বছর খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তিনি কখনোই ইমাম ছিলেন না।

এছাড়া, আব্দুল হাকিমের শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণি গ্রহণযোগ্য নয় বলে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ ছিল, কিন্তু তিনি ২০১৫ সালে তৃতীয় শ্রেণিতে এলএলবি সম্পন্ন করে নিয়োগ পেয়ে যান, যা নিয়মের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তার বয়স নিয়েও বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে, কারণ তার আবেদনপত্রে থাকা সনদগুলিতে ভিন্ন ভিন্ন জন্মসাল দেখানো হয়েছে।

এদিকে, এই ভুয়া অভিজ্ঞতার সনদটি সত্যায়ন করেছেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও আইন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।

এ ব্যাপারে আরও অভিযোগ রয়েছে যে, আব্দুল হাকিমের পরিবারের সদস্যরা জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রতিবেদন জানায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, "পেশ ইমাম হিসেবে আব্দুল হাকিমকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। নিয়োগপত্র দেওয়ার পর আরেকজন প্রার্থী অভিযোগ করেছেন।"

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, "পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়ার পর তার আবেদন আসে এবং যাচাই-বাছাই শেষে তাকে বাছাই বোর্ড সুপারিশ করেছে।" তিনি আরও জানান, "পুলিশ ভেরিফিকেশনের পর তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তবে নতুন অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হবে।"

ইএইচ

Link copied!