গাজায় ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ

গাজায় ইসরাইলি বর্বর ও নৃশংস হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা সহ সংশ্লিষ্ট এলাকার মুসল্লিরা। এতে বিশ্ব মুসলিম এক হওয়ার জন্য আহ্বান জানান তারা।

শুক্রবার বাদ জুমা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবন চত্বরের সামনে সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশে সমবেত হয়। পাশাপাশি ক্যাম্পাস সংশ্লিষ্ট শেখ পাড়ার মসজিদের মুসল্লিরা সমাবেশে শরিক হন।

নুরুজ্জামান নামের এক মুসল্লী বলেন, ইসরায়েলি সন্ত্রাসী বাহিনীরা নিরপরাধ গাজাবাসীর ওপর নির্মম গণহত্যা চালিয়ে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে। এর সমাধান কোথায়? মুসলিম জাতি বসে আছে কেন? এর জবাব দিতে হবে না? মুসলিম উম্মাহকে এক হওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।

ইবি শাখা শিবির সেক্রেটারি ইউসুব আলী বলেন, আমরা দেখেছি নেতা নিয়াহু হামলা চালিয়ে বললো- এটা হামলা শুরু। আমি বলে দিতে চাই- আপনার দৃষ্টিতে এটা হামলা শুরু হতে পারে তবে দ্ব্যর্থ কণ্ঠে বলে দিতে চাই- এটা হামলা শুরু নয় বরং আপনাদের পতনের শুরু। আপনাদের থেকে ফেরাউন অনেক শক্তিশালী ছিল, তারাও ধ্বংস হয়েছিল। আপনাদের ধ্বংস অনিবার্য। আমি বিশ্বনেতার প্রতি বলতে চাই- আল্লাহর গজব আসার আগে আপনারা সাবধান থাকতে হবে। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ইসলামের পক্ষে থাকার তাওফিক দিক।

খেলাফতে ছাত্র মজলিশ ইবি শাখার সভাপতি সাদেক আহমেদ বলেন, যুদ্ধ বিরতির সময়ে মুসলমানদের ওপর হামলা চালিয়েছে, আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমি ওআইসির কাছে প্রশ্ন করতে চাই- আপনারা কেন গঠিত হয়েছেন? যদি আপনারা কার্যকর ভূমিকা রাখতে না পারে তাহলে নাম পরিবর্তন করে ফেলুন। মুসলিম জনতাকে এক হওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

ইবি শাখা সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, আমাদের একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। ইসরায়েলকে সমর্থন দিচ্ছে ভারত এবং বাংলাদেশকেও সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে ভারত। উভয় গণহত্যার পিছনে ভারত সরাসরি মদদ দিয়ে যাচ্ছে সেটা প্রমাণিত। আমরা দেখতে পাই- বাংলাদেশে আওয়ামী পুনর্বাসনের প্রশ্নে সেনাবাহিনীর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী দোসর আর নেতা নিয়াহু একই সূত্রে গাঁথা। এই সমাবেশে সেনাবাহিনী প্রধান ওয়াকার ও চুপ্পুর পদত্যাগ চাই।

ইএইচ