ববি প্রতিনিধি
এপ্রিল ১৪, ২০২৫, ১১:০৩ এএম
ববি প্রতিনিধি
এপ্রিল ১৪, ২০২৫, ১১:০৩ এএম
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মুহসিন উদ্দীনকে সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দাবি, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রশাসনিক অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগ রয়েছে।
রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
আদেশটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শূচিতা শরমিনের নির্দেশে জারি করা হয়।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ৫ আগস্ট অধ্যাপক মুহসিন ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট সদস্য পদ থেকে পদত্যাগপত্র জমা দেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে একমাত্র অধ্যাপক হওয়ায় উপাচার্য তাকে গত ৭ অক্টোবর পুনরায় সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেন।
তবে ১৪ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় যোগ না দিয়ে তিনি অনুপস্থিত থাকেন এবং সভা বর্জনের ঘোষণা দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে লিখিত বার্তা পাঠান। সেইসঙ্গে তার উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের একাংশ উপাচার্যের রেসিডেন্স কাম অফিসের গেট ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ করা হয়।
আরও উল্লেখ করা হয়, ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রশাসনিক ভবনের নিচে এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্যকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেন অধ্যাপক মুহসিন, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ও চাকরি বিধির পরিপন্থী। সেই সঙ্গে তাকে "ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর" হিসেবে চিহ্নিত করার বিষয়টিও নোটিশে উল্লেখ রয়েছে।
অন্যদিকে চাকরির পুলিশ ভেরিফিকেশনের তথ্য অনুযায়ী, অধ্যাপক মুহসিন এবং তার পরিবার আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া তিনি ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ প্রবর্তনের কমিটিতে সদস্য সচিব ছিলেন। এসব প্রেক্ষিতে তাকে সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় বলে নোটিশে জানানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, “উপাচার্যের নির্দেশেই অধ্যাপক মুহসিনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমি আর কোনো মন্তব্য করতে চাই না।”
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. মুহসিন উদ্দীন বলেন, “অযৌক্তিক এবং বেআইনিভাবে আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একাডেমিক কাউন্সিলের সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত ছাড়া উপাচার্য এককভাবে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।”
ইএইচ