জুলাই ১৫, ২০২৩, ১১:০৭ এএম
সৌদি আরবের একটি সোফা তৈরির কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৯ জন বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় একজন ভারতীয় নাগরিকও মারা গেছেন। শুক্রবার (১৫ জুলাই) স্থানীয় সময় বিকাল ৪টার দিকে আল আহসা শহরের হুফুফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিটি এলাকার ওই কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নিহতরা হলেন- ১) মো. রুবেল হোসাইন (পাসপোর্ট নম্বর: বিসি ০২৩৭০৫৫) পিতা- জফির উদ্দিন, ঠিকানা-বারইপাড়া, বাগমারা, রাজশাহী; ২) মোহাম্মদ উবায়দুল (ইকামা নম্বর: ২৩৮৪১৯৭৮৯৯), পিতা-মো. দবির উদ্দিন, ঠিকানা-খাজুরা চান্দপুর, জনার্ধন বাটী, নলডাংগা, নাটোর; ৩) রমজান (ইকামা নম্বর: ২৪৭২৪৭০৫৮৮), পিতা-আইজাক প্রামানীক, ঠিকানা- ঝনঝনিয়া, শাহগুলা, আত্রাই, নওগা; ৪) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম (পাসপোর্ট নম্বর: এই৬৩২৬৮৪১), পিতা-জমির, ঠিকানা-বারইপাড়া, বাগমারা, রাজশাহী; ৫) আরিফ (ইকামা নম্বর: ২৫৩৫১৭৬৩৩৯), পিতা-মো. শাহাদাত হোসাইন, ঠিকানা- বারইপাড়া, বাগমারা, রাজশাহী; ৬) বারেক সরদার (ইকামা নম্বর: ২২৪৭৪৩৯৮৫০), পিতা-রহমান সরদার, ঠিকানা- উদয়পুর, ভাংগা জাঙ্গাল, আত্রাই, নওগাঁ; ৭) মো. জুবায়েত ঢালী (পাসপোর্ট নম্বর: বিডব্লিউ ০৬৭৩৪০৭), পিতা- ইউনুস ঢালী, ঠিকানা-সস্তান, ফাসিয়াটুলা, কালকিনি, মাদারীপুর; ৮) সাইফুল ইসলাম (ইকামা নম্বর: ২৫২৯৯২২৩২৬), পিতা-মৃত আলাউদ্দীন, ঠিকানা-হেমায়েতপুর-বলিয়ারপুর, নগরকুন্দা, সাভার, ঢাকা; ৯) মো. ফিরুজ আলী সরদার (পাসপোর্ট নম্বর: ইই ০৫৮১২৭৪), পিতা-মো. আনিসুর রহমান সরদার, ঠিকানা-বড় মাধাইমুরি, কাতিলা, বাগমারা, রাজশাহী।
অগ্নিকাণ্ড থেকে বেঁচে যাওয়া বিপ্লব হোসেন ও মো. জুয়েল হোসেন নামের দুইজন বাংলাদেশি কর্মীর বরাত দিয়ে দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একজন ভারতীয় নাগরিকের পরিচালনাধীন সোফা কারখানাটিতে ১৪ জন বাংলাদেশি কর্মী কাজ করতেন। শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে দুপুরের খাবারের পর কারখানার উপরের আবাসনে কর্মীরা ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ নীচ থেকে চিৎকার শুনে তারা দুজন দ্রুত সিঁড়ি দিয়ে বেরিয়ে আসেন। ওই সময় কারখানার চারদিক ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে ছিল। কিন্তু অন্য সহকর্মীরা ধোঁয়ায় নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যান বলে জানান তারা।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বাংলাদেশি নাগরিকদের মৃতেদেহ দ্রুত দেশে পাঠানো কিংবা স্থানীয়ভাবে দাফনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দূতাবাসের শ্রমকল্যাণ উইংকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
এইচআর