মালয়েশিয়া প্রতিনিধি
সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩, ০৪:০৪ পিএম
মালয়েশিয়া প্রতিনিধি
সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩, ০৪:০৪ পিএম
মালয়েশিয়ায় রাজধানী কুয়ালালামপুরের বাইরে এবার সুবাংজায়া জেলায় বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য দেশীয় খাবারের রেস্টুরেন্ট ‘নাতাশা’র উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে দেশীয় সাদা পোলাও এবং কাচ্চি বিরিয়ানিসহ পাওয়া যাবে দেশীয় সব ধরনের খাবার।
মালয়েশিয়ায় বসবাসরত সকল বাংলাদেশি প্রবাসীদের দেশীয় রসনার তৃপ্তি মেটাতে ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয় রেস্টুরেন্টটি।
রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশি অধ্যুষিত বাণিজ্যিক এলাকা সুবাংজায়া ইউএস জে ওয়ান এ শত শত প্রবাসী বাংলাদেশি এবং মালায়ু, চাইনিজদের সরাসরি অংশগ্রহণে মিলাদ মাহফিলের মাধ্যমে রেস্টুরেন্টটির উদ্বোধন করা হয়।
মালয়েশিয়ায় রেস্টুরেন্টের সংখ্যার দিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ার যে কোন দেশের তুলনায় একটু বেশি। স্বাদ, পরিষ্কার পরিছন্নতাসহ গুণগত মান কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে ডিবিকেএল নামে দেশটির সরকারি সংস্থা।
মালয়েশিয়ান ও বাংলাদেশি খাবারের স্বাদ ও গন্ধের মধ্যে কিছু তফাৎ রয়েছে। এজন্য বাংলাদেশি পর্যটকরা মালয়েশিয়ায় এসেই মালয় খাবার খেতে পারেন না। তাছাড়াও অনেক প্রবাসী বাংলাদেশিরা মালয় খাবার খেতে অভ্যস্ত হতেও পারেন না। মালয়েশিয়া রেস্টুরেন্টগুলোতে বাঙালি ঘরানার খাবার তৈরি হয় না। তাদের খাবার অনেকটা পশ্চিমা ও চায়নিজ ঘরানার খাবার। কুয়ালালামপুরের বাইরে সুবাংজায়ায় হাজার হাজার বাংলাদেশী ও ভারত, পাকিস্তানের নাগরিক রয়েছে। তাদের খাবারের পাতে দেশীয় খাবারের স্বাদ তুলে দিতে নাতাশা রেস্টুরেন্টের চালু করা হয়েছে।
রাজধানী কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতাং কর্মাশিয়াল এলাকায় একাধিক বাংলাদেশী রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠেছে। তবে রাজধানী কুয়ালালামপুরের বাহিরের রাজ্যগুলোতে তুলনামূলকভাবে কম। এবার কলিং ভিসায় বাংলাদেশীদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশের পর আগের যে কোন সময়ের তুলনায় তাদের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। চাহিদা থাকায় রাজধানীর বাইরের রাজ্যগুলোতে বাংলাদেশি রেস্টুরেন্টের সংখ্যা বাড়ছে। এসব রেস্টুরেন্টে চায়না ও মালয়েশিয়ান নাগরিকরা বাংলাদেশি খাবার খেতেও দেখা যাচ্ছে। এতে করে বাঙালিয়ানার রন্ধনশালা বিদেশেও পরিচিত পাচ্ছে।
ধারনা করা হয় মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি প্রবাসীদের সংখ্যা প্রায় ১.৫ মিলিয়নের উপরে। কলিংভিসা চালু হওয়ার পর এই সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু বাংলাদেশিদের সংখ্যা অনুযায়ী ভালো মানের রেস্টুরেন্ট খুবই কম। বাংলাদেশি প্রবাসীদের সারাদিন হাড়ভাঙ্গা খাটুনির পর নিজেদের রান্না নিজেদেরই করতে হয়। অনেক সময় প্রবাসীরা অতিরিক্ত ওভারটাইম কাজ করার পর রান্না করার সময়টুকুও থাকে না। তখন বাংলাদেশি রেস্টুরেন্টগুলোই একমাত্র ভরসা। তাছাড়া স্বপ্নভূমি মালয়েশিয়ায় প্রতিবছর বাংলাদেশি পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। তারাও মালয় খাবার না খেতে পেরে বাংলাদেশী রেস্টুরেন্টে আহার করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নাতাশা রেস্টুরেন্টের পরিচালক মহিউদ্দিন খান মহি, রাসেল খান, জাফর খান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সোহেল রানা, কাওসার রহমান, মইনুল শেখ, মেহের জামান, পাশা খান, বিশিষ্ট শিল্পপতি দাতু হাইকাল ও দাতু লামসহ শতশত প্রবাসী।
এআরএস