আমার সংবাদ ডেস্ক
জানুয়ারি ৬, ২০২৫, ১০:৪৮ এএম
আমার সংবাদ ডেস্ক
জানুয়ারি ৬, ২০২৫, ১০:৪৮ এএম
লন্ডনে দেশটির ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক একটি ফ্ল্যাট উপহার পাওয়া নিয়ে মিথ্যাচার করেন। এ ঘটনায় টিউলিপ সিদ্দিকের ওপর পদত্যাগের চাপ জোরালো হয়েছে।
বহুল আলোচিত এই কেলেঙ্কারির ঘটনায় তিনি মন্ত্রিত্ব হারানোর ঝুঁকিতে পড়েছেন বলে রোববার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিককে একাধিকবার প্রশ্ন করা হয়েছে, ৭ লাখ পাউন্ডের মূল্যমানের দুই শয্যাকক্ষের ফ্ল্যাটটি তাকে উপহার দেয়া হয়েছে কী না। তবে তিনি প্রথমে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেছেন যে তার বাবা-মা তাকে এই ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছেন। এরপর, দ্য মেইল অন সানডে পত্রিকার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার হুমকিও দেন তিনি।
তবে, লেবার পার্টির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ফ্ল্যাটটি আসলে এক ডেভেলপার ‘কৃতজ্ঞতাস্বরূপ’ তাকে উপহার দিয়েছেন। ফ্ল্যাটটির মালিক ছিলেন বাংলাদেশী ডেভেলপার আব্দুল মোতালিফ। যিনি ২০০১ সালে এই ফ্ল্যাট কিনেছিলেন এবং পরে টিউলিপ সিদ্দিককে এটি হস্তান্তর করেন।
এই ঘটনার পর, ব্রিটেনের কয়েকজন এমপি টিউলিপ সিদ্দিককে তার সম্পত্তির বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে বলছেন।
টরি এমপি বব ব্ল্যাকম্যান এবং ম্যাট ভিকার্সসহ অন্যান্যরা দাবি করেছেন, যদি টিউলিপ সিদ্দিক তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ পরিষ্কার না করেন। তবে তার মন্ত্রিত্ব অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে না।
শনিবার রাতে ব্রিটেনের টরি এমপিরা দাবি জানিয়ে বলেন, টিউলিপ সিদ্দিক যদি তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে না পারেন, তাহলে তার মন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত।
লন্ডনের হ্যারো ইস্টের টরি এমপি বব ব্ল্যাকম্যান বলেন, টিউলিপ সিদ্দিককে তার সম্পত্তির বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট এবং ব্যাখ্যা করতে হবে, আসলে তিনি কী বলেছিলেন এবং কেন।
টিউলিপ বর্তমানে যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের (ট্রেজারি) অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টার (ইকোনমিক সেক্রেটারি) হিসেবে কর্মরত আছেন। মন্ত্রী হিসেবে তার কাজ হলো দেশটির আর্থিক খাতের অপরাধ-দুর্নীতি বন্ধ করা। বাংলাদেশের সদ্য ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে তিনি।
বাংলাদেশে তিনি ও তার পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত চলছে।
সূত্র : ডেইলি মেইল ও দ্য সানডে টাইমস
ইএইচ