Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

কেন ফাহাদকে ডিভোর্স দিয়েছেন পূর্ণিমা

সাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া

জুলাই ২৩, ২০২২, ০৬:২৬ পিএম


কেন ফাহাদকে ডিভোর্স দিয়েছেন পূর্ণিমা

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা দিলারা হানিফ পূর্ণিমা আবারও বিয়ে করেছেন। মাস দুয়েক আগেই (গত ২৭ মে) সেরেছেন বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। তবে বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) খবরটি প্রকাশ করেছেন তিনি। তার নতুন বরের নাম আশফাকুর রহমান রবিন। তিনি একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে মার্কেটিং বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।

পূর্ণিমার বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসতেই তা ভাইরাল হয়ে গেছে। সাধারণ দর্শক থেকে শুরু করে শোবিজ জগতের মানুষেরাও বিষয়টি নিয়ে সমান উচ্ছ্বসিত। অনেকেই নায়িকাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অন্তর্জালে।


কেউ কেউ আবার কৌতূহলবশত জানতে চাচ্ছেন কবেই বা পূর্ণিমার সঙ্গে সাবেক স্বামী ফাহাদের ডিভোর্স হয়েছে? আর কী কারণে এক যুগের সম্পর্কের ইতি টেনেছেন তারা।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা পোস্টের কাছে মুখ খুলেছেন পূর্ণিমা। তিনি বলেন, ‘যেটা চলে গেছে। যেটা শেষ হয়ে গেছে। সেটা নিয়ে মানুষের বেশি বেশি কৌতূহল থাকে। কেন শেষ হলো? কি হলো না হলো। আসলে ওগুলো নিয়ে বলতে চাই না। কারণ ওটা তো অনেক বছরের সম্পর্ক। প্রায় ১২ বছর সম্পর্ক ছিল। এত বছর ধরে চেষ্টা করে গেছি। কোনোভাবে মনের মিল, বোঝাপড়া যেটা থাকে না ওটা হয়নি।’

পূর্ণিমা জানান, ফাহাদের সঙ্গে তার ডিভোর্স হয়েছে ৩ বছর আগে। সম্পর্ক শেষ হয়ে গেলেও সাবেক স্বামীর মঙ্গলই যেন কামনা করলেন এই নায়িকা। বললেন, ‘আমি কখনো আসলে কারও খারাপ চাই না। কখনো কারও লাইফ নষ্ট হোক সেটাও চাই না। যেটাই হোক না হোক বোঝাপড়ার মাধ্যমে। অনেক চেষ্টা করেছি। অনেক চেষ্টা করেও যখন আর পারছিলাম না, তখন না পারতে চুপচাপ সরে এসেছি।’

পূর্ণিমা বিয়ে করায় মন ভেঙেছে তার ভক্তদের অনেকের। সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই লিখেছেন পূর্ণিমা তাদের ক্রাশ ছিলো। নায়িকা এভাবে বিয়ে করায় তারা কষ্ট পেয়েছেন। এসব শুনে হেসে ওঠেন পূর্ণিমা। মজার ছলে তিনি বলেন, ‘শুরু থেকেই আমি কাঁদাচ্ছিলাম। মাঝখানেও কাঁদাচ্ছিলাম। সবসময় ওরা কাঁদতেই থাকে। বিয়ে কেন করলাম, বুড়ি কেন হই না। এখন আবার কেন বিয়ে করলাম। তো সবসময় কাঁদতেই থাকে ওরা। এখন আর পারলাম না।’

উল্লেখ্য, পূর্ণিমা ও ফাহাদ বিয়ে করেছিলেন ২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর। এরপর ২০১৪ সালের ১৩ এপ্রিল একমাত্র কন্যাসন্তানের মা হন নায়িকা। তার নাম রেখেছেন আরশিয়া উমাইজা। ফাহাদের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকে সিঙ্গেল মাদার হিসেবেই জীবনযাপন করছিলেন তিনি।

এর ফাঁকেই পরিচয় ঘটে রবিনের সঙ্গে। একটি কাজের সূত্রে তাদের প্রথম দেখা হয়। এরপর আলাপে আলাপে গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব ও প্রেম। দু’জনের পরিবার বিষয়টি জানার পর সম্মতি দেয়। সেই সুবাদে পারিবারিকভাবেই বিয়ে করেছেন পূর্ণিমা-রবিন।

আরইউ

Link copied!