নভেম্বর ২১, ২০২২, ১১:১৪ এএম
কে এই ঐন্দ্রিলা শর্মা: ঐন্দ্রিলা শর্মা একজন ভারতীয় টেলিভিশন অভিনেত্রী। ১৯৯৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। কলকাতায় এসেছিলেন অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে। তবে সে স্বপ্ন পুরোপুরি পূরণের আগেই চলে গেলেন তিনি।
২০১৭ সালে ‘ঝুমুর’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে ছোট পর্দায় অভিষেক হয় ঐন্দ্রিলার। ঐন্দ্রিলা ২০১৫ সাল একাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় তার ক্যান্সার ধরা পড়ে।২০২১ সালে ফুসফুসে টিউমার হয়। দুইবার ক্যানসারজয়ী রোগকে উপেক্ষা করে উদ্যম নিয়ে চলছিলেন। এই অভিনেত্রীর প্রতিটা লড়াইয়ে সর্বক্ষণের সঙ্গী ছিলেন প্রেমিক অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য টিভি সিরিয়াল হল ‘ঝুমুর’, ‘মহাপীঠ’ ‘তারাপীঠ’, ‘জীবনজ্যোতি’, ‘জীবনকথা’, ‘জিয়নকাঠি’। টিভি তারকা হিসেবে ২০২২ সালে ‘অসাধারণ প্রত্যাবর্তন’ বিভাগে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সম্মাননা পেয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। ঐন্দ্রিলা অভিনীত ৫টি সিনেমা ও সিরিয়ালের নাম তুলে ধরা হলো-
ঝুমুর: ২০১৭ সালে অভিনেত্রী হিসেবে পথচলা শুরু ঐন্দ্রিলার। ‘ঝুমুর’ ধারাবাহিকের হাত ধরে টেলিভিশন দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন তিনি। এই সিরিয়ালের সেটেই তাঁর সঙ্গে প্রথম আলাপ হয় সব্যসাচী চৌধুরীর। তিনি ছিলেন-ঐন্দ্রিলার সহ অভিনেতা। সেখান থেকেই প্রথমে বন্ধুত্ব এবং পরে দুইজনের মধ্যে গড়ে উঠেছিল গভীর প্রেমের সম্পর্ক।
জিয়ন কাঠি: ‘ঝুমুর’ ধারাবাহিকের হাত ধরে ডেবিউ হলেও ঐন্দ্রিলার জনপ্রিয়তা পাওয়া শুরু ‘জিয়ন কাঠি’ ধারাবাহিকের হাত ধরে। ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত চলেছিল এই ধারাবাহিকটি। ঐন্দ্রিলার বিপরীতে এই সিরিয়ালে প্রথমে দেখা গিয়েছিল জয় মুখার্জি এবং পরে জনপ্রিয় টেলি অভিনেতা সোমরাজ মাইতিকে।
আমি দিদি নম্বর ১: সিরিয়ালের দুনিয়ায় ডেবিউ করার ৩ বছরের মাথায় অর্থাৎ ২০২০ সালে বড়পর্দায় হাতেখড়ি হয়েছিল ঐন্দ্রিলার। সেই বছর মুক্তি প্রাপ্ত ‘আমি দিদি নম্বর ১’ ছবির মাধ্যমে সিনেমার দুনিয়ায় পা রাখেন অভিনেত্রী। এই ছবিতে তাঁর সহ অভিনেতা ছিলেন আদৃত রায়। হ্যাঁ, ঠিকই দেখছেন। ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের সিদ্ধার্থের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন ঐন্দ্রিলা।
লাভ ক্যাফে: শুধুমাত্র ‘আমি দিদি নম্বর ১’ই নয়, আরও একটি সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন ঐন্দ্রিলা। হৃতজিৎ মুখার্জির সঙ্গে ‘লাভ ক্যাফে’ ছবিতেও দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রীকে।
ভাগাড়: মৃত্যুর আগে ঐন্দ্রিলাকে দেখা গিয়েছিল ‘ভাগাড়’ ওয়েব সিরিজে। এই সিরিজে ঐন্দ্রিলার সঙ্গেই অভিনয় করেছিলেন সব্যসাচী চৌধুরীও। এছাড়াও রজতাভ দত্ত, অম্লান মজুমদারদের মতো শিল্পীদেরও দেখা গিয়েছিল ‘ভাগাড়’এ।
এছাড়াও আরও একটি ছবির কাজ ছিল ঐন্দ্রিলার হাতে। শীঘ্রই সেই ছবির শ্যুটিংয়ের জন্য গোয়ায় যাওয়ার কথা ছিল অভিনেত্রীর। কিন্তু তার আগেই ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন ঐন্দ্রিলা। ভর্তি হন হাসপাতালে। ২০ দিনের লড়াইয়ের পর থেমে যায় ‘ফাইটার’ ঐন্দ্রিলার জীবনযুদ্ধ।
এআই