Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রী দিলেন ১লাখ ডলার

ফেব্রুয়ারিতে দেশে ফিরছেন নায়ক ফারুক

বিনোদন প্রতিবেদক

বিনোদন প্রতিবেদক

জানুয়ারি ৯, ২০২৩, ০৫:০৭ পিএম


ফেব্রুয়ারিতে দেশে ফিরছেন নায়ক ফারুক

ঢাকাই চলচ্চিত্রের মিয়া ভাইখ্যাত কিংবদন্তি চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। বর্তমানে তিনি ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য। প্রায় দুই বছর ধরে অসুস্থতার জন্য সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা ভালো। সুস্থ হয়ে উঠেছেন নন্দিত এ অভিনেতা। আগামী ফেব্রুয়ারিতে দেশে ফিরবেন ফারুক। সিঙ্গাপুর থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফারুকের স্ত্রী ফারহানা ফারুক। 

হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে না পারায় সুস্থ হওয়া সত্ত্বেও দেশে ফিরতে পারছেন না তিনি। গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন সংবাদের প্রেক্ষিতে ফারহানা ফারুক বলেন, হাসপাতালের বিল দিতে পারছি না এটা একদমই ঠিক নয়। এমন কথা যেনো না লেখা হয়।  

তিনি বলেন, ফারুক ডাক্তার লাই-এর অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি একমাস সিঙ্গাপুরের বাইরে ছিলেন। দুদিন আগে তিনি সিঙ্গাপুর ফিরেছেন। তাই ফাইনালি ডাক্তার লাইয়ের পরামর্শ ছাড়া এখান থেকে ছাড়পত্র নেবো না। ডাক্তার বলেছেন ফারুক এখন পুরোপুরি সুস্থ। 

ফারহানা ফারুক আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এখানে ফারুকের চিকিৎসা করা হচ্ছে। এই হাসপাতালের চিকিৎসা খরচ অনেক বেশি। এজন্য আমরা আমাদের সম্পত্তি বিক্রি করেছি। ফ্ল্যাট ও জমি ছাড়া ব্যাংকের টাকাও খরচ করেছি। প্রধানমন্ত্রী ফারুকের চিকিৎসার জন্য ১লাখ ডলার দিয়েছিলেন। আমরা তার কাছে চিরকৃতজ্ঞ। 

হাসপাতালের যাবতীয় বিল পরিশোধের বিষয়ে তিনি বলেন,  এখন আমরা পারিবারিকভাবে হাসপাতালের যাবতীয় বিল পরিশোধ করছি। বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে টাকা যোগাড় করে আনতে গেলেও একটু সময় লাগে। তার মানে এমনটি নয় আমরা বিল পরিশোধ করতে পারছি না। সবাই ফারুকের জন্য দোয়া করবেন। ফারুক এখন সুস্থ আছেন।

১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’তে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রে ফারুকের আত্মপ্রকাশ ঘটে। প্রথম সিনেমায় তার বিপরীতে ছিলেন মিষ্টি মেয়ে কবরী। এরপর ১৯৭৩ সালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র খান আতাউর রহমানের পরিচালনায় ‘আবার তোরা মানুষ হ’ ও ১৯৭৪ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতার ‘আলোর মিছিল’ এ দুটি সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি।

১৯৭৫ সালে তার অভিনীত ‘সুজন সখী’ ও ‘লাঠিয়াল’ সিনেমা দুটি ব্যাপক ব্যবসা সফল হয়। ওই বছর ‘লাঠিয়াল’র জন্য তিনি সেরা-পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ১৯৭৬ সালে ‘সূর্যগ্রহণ’ ও ‘নয়নমণি’, ১৯৭৮ সালে শহীদুল্লাহ কায়সারের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত আব্দুল্লাহ আল মামুনের ‘সারেং বৌ’, আমজাদ হোসেনের ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’সহ বেশকিছু সিনেমায় ‘মিয়া ভাই’খ্যাত চিত্রনায়ক ফারুকের অভিনয় প্রশংসিত হয়।

Link copied!